চুরি করা টাকা নমিতা নিজের কাছে রাখে না। সোনার গয়না বানিয়ে নেয়। ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধ এক ফলের দোকান থেকে ফলচুরির অভিযোগে পুলিশ এক মহিলাকে গ্রেফতার করল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শহরের হাসপাতাল কালীবাড়ি মোড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নমিতা মণ্ডল। বাড়ি গোপালনগর থানা এলাকায়।
দিন কয়েক আগে ওই এলাকার এক বন্ধ ফলের দোকান থেকে বছর পঁয়ত্রিশের নমিতা বেদানা, আপেল, আঙুর চুরি করেছিল। চুরি করা ফল সে মগরা এলাকায় বিক্রি করেছিল বলে তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে এক ভ্যানচালককে সঙ্গে করে নমিতা চুরি করতে গিয়েছিল। পুলিশ সেই ভ্যানচালকের খোঁজ করছে। সোমবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠান।
এর আগেও নমিতা চুরির অভিযোগে দু’বার বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে ফের সে পুরনো কারবারে যুক্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চুরির সময়ে সে অন্য কাউকে সঙ্গে নেয় না। চুরির মালপত্রের ভাগও অন্যকে দিতে চায় না। শুধু ফলের দোকানে নয়, চায়ের দোকানে টাকা, ঘরের টালি খুলে ঢুকে কেরোসিন তেল, মন্দিরের প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা— নানা রকম চুরি সে করে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কী ভাবে চুরি করে সে?
পুলিশ জানায়, কোথাও চুরি করার আগে সাধারণত সকালে সেই এলাকায় গিয়ে সবকিছু দেখে আসে সে। সন্ধের পরে বনগাঁ শহরে চলে আসে। রাত গভীর হলে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছয়। মহিলা বলে কেউ তেমন সন্দেহও করেন না। চুরি হয়ে গেলে স্টেশনে গিয়ে সে রাত কাটায়। ভোর হলে অন্যত্র চলে যায়। তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘নমিতার চোখের দৃষ্টি প্রখর। কোনও চায়ের দোকানে বসে চা খেতে খেতেই সে সেখানে কী ভাবে চুরি করবে তার ছক কষে নেয়। এ ভাবেই সে বনগাঁর একটি চায়ের দোকানের টিনের বেড়া ভেঙে ৩০ হাজার টাকা চুরি করে।’’
পুলিশকে নমিতার আত্মীয় স্বজনেরা জানান, অর্থের অতিরিক্ত লোভ থেকেই নমিতা চুরি করে। চুরি করা টাকা সে নিজের কাছে রাখে না। সোনার গয়না বানিয়ে নেয়।
কিন্তু নমিতা নিজে কী বলছে? কেন সে চুরি করে— এই প্রশ্নে পুলিশকে নমিতা জানায়, ‘‘আগে ভাল ছিলাম। এখন মনে হয়, চুরি করি আর সেই টাকায় গয়না বানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy