খুচরো সমস্যা মিটছে না। এ দিকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে চলছে অসংখ্য মেলা আর অনুষ্ঠান। ডেকোরেটর, ক্যাটারার, অনুষ্ঠানের কুশীলবদের প্রাপ্য মেটাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন মেলা ও অনুষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
ধার বাকিতে এখন আর কাজ করতে চাইছেন না অনেকে। শিল্পাঞ্চলের এক দিকে নৈহাটি উৎসব আর অন্য দিকে পানিহাটি উৎসব চলছে। দু’টোরই মূল আয়োজক দুই এলাকার দুই বিধায়ক। শনি ও রবি ব্যাঙ্কও বন্ধ ছিল। দু’লক্ষ টাকার খুচরোর জোগান দেওয়ার জন্য উৎসব কমিটির সদস্যদের সব কাজ ফেলে দৌড়-ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও চিন্তিত। প্রত্যেকে নিজের ঘর থেকে যথা সম্ভব দিয়ে কোনও রকমে সামাল দেবেন বলে ঠিক করেছেন। পার্থবাবু বলেন, ‘‘দু’লক্ষ টাকার দরকার ছিল। কুড়িয়ে বাড়িয়ে মিলল সাকুল্যে পঞ্চাশ হাজার। সবাইকে হাতজোড় করে বলতে হচ্ছে পরে টাকা পাঠিয়ে দেব। নোটের গেরোয় শিল্প সংস্কৃতিও উঠে যাবে দেশ থেকে।’’ পানিহাটি উৎসবে এ বার পেটিএম আর অনলাইন টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে কিছু স্টলে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। কোথাও পেটিএম ঠিকমতো স্ক্যান করছে না। কোথাও আবার অনলাইনের লিঙ্ক ফেল বলে মেসেজ আসছে। ক্রেতারা জিনিসপত্র পছন্দ করে প্যাকেট বন্দি হওয়ার পরেও না কিনে ফিরে আসছেন। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘মেলায় তো কেনা বেচার জন্য মানুষ আসে। সেটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাও আমরা স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ করেছি কিছু খুচরো টাকার যোগান বাড়ানোর জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy