স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। বসিরহাটের সোনপুকুর ধার এলাকায় এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বসিরহাটের সোনপুকুর ধারের একটি বাড়িতে নিবাস দাস (৪২) এবং তাঁর স্ত্রী মিলিদেবী ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার বিকালে নিবাসবাবু অসুস্থ হয়ে যান। মিলিদেবী তখন তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করেন। মিলিদেবীর বাবা প্রদীপ দাস-সহ কয়েকজন এসে নিবাসবাবুকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে নিবাসের দাদা সুভাষবাবু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য কয়েকজন চলে আসেন। এই পর্যন্ত বিষয়টি ঠিক থাকলেও শনিবার সকাল থেকে মিলিদেবী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরেই রহস্য দানা বেঁধেছে। রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট বছর আগে বসিরহাটের খোলাপোতা রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মিলিদেবীর সঙ্গে সন্দেশখালির ন্যাজাটের বাসিন্দা নিবাসবাবুর বিয়ে হয়েছিল। তিনি কর্মসূত্রে সোনপুকুর এলাকার সুভাষপল্লিতে থাকতেন। নিবাসবাবুর দাদা সুভাষবাবুর দাবি, ‘‘আমার ভাইয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ভাইয়ের স্ত্রী প্রতিবেশীদের ডাকেননি। তিনি কেন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলেন বুঝতে পারছি না।’’ এই ঘটনা পরিকল্পিত খুন এবং এর পিছনে অন্য যুবকের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নিবাসবাবুর পরিবার। যদিও মিলিদেবীর বাবা প্রদীপ দাসের পাল্টা দাবি, ‘‘চিকিৎসক বলেছেন, অসুস্থ হয়ে জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ে কেন নিখোঁজ হল বুঝতে পারছি না।’’
এ দিন বিকেলে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে নিবাসবাবুর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের পরিবারের গোলমাল হয়। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কী কারণে মৃত্যু সেটি বলা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy