Advertisement
E-Paper

রোগিণীর মৃত্যুতে উত্তেজনা

দেগঙ্গার কলসুর গ্রামের মর্জিনা বিবি (৩৫) শনিবার সকালে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মারা যান। দিন সাতেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। বহির্বিভাগে কয়েক দিন চিকিৎসা করান। ভর্তি ছিলেন চার দিন। শনিবার ‘রেফার’ করা হয় তাঁকে। পরিবারের দাবি, রেফার করার আগেই মারা গিয়েছিলেন মর্জিনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪১
উত্তেজনা: হাসপাতালের সামনে জমায়েত। ছবি: নির্মল বসু

উত্তেজনা: হাসপাতালের সামনে জমায়েত। ছবি: নির্মল বসু

চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল।

দেগঙ্গার কলসুর গ্রামের মর্জিনা বিবি (৩৫) শনিবার সকালে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মারা যান। দিন সাতেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। বহির্বিভাগে কয়েক দিন চিকিৎসা করান। ভর্তি ছিলেন চার দিন। শনিবার ‘রেফার’ করা হয় তাঁকে। পরিবারের দাবি, রেফার করার আগেই মারা গিয়েছিলেন মর্জিনা। সে কথা অবশ্য মানেননি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

এ দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু লোক বাদুড়িয়া-মসলন্দপুর রাস্তায় অবরোধ শুরু করে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁদের হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিয়ে অভিযোগকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিক্ষোভকারীরা এ দিন দাবি করেন, মর্জিনা জ্বরে ভুগছিলেন। ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া হয়েই মারা গিয়েছেন। যদিও সে কথা মানেননি সিএমওএইচ। তাঁর দাবি, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) মারা গিয়েছেন ওই মহিলা।

মাস দু’য়েক ধরে বাদুড়িয়ার শ্রীরামপুর, মাগুরখালি, কলিঙ্গা, চণ্ডীপুর, চাতরা-সহ বিভিন্ন গ্রামে জ্বর ছড়িয়েছে।

অভিযোগ, রুদ্রপুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনেকেই সময় মতো আসেন না। ডেঙ্গি হলেও তা ‘সাধারণ জ্বর’ তথ্য গোপন করা হচ্ছে। সরকারি কোয়ার্টার থাকা সত্ত্বেও বিএমওএইচ রাতে হাসপাতালে থাকেন না।

বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আব্দুল রহিম দিলু বলেন, ‘‘রুদ্রপুর হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসক থাকেন না। জ্বর যখন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে, এলাকায় ডেঙ্গি ধরা পড়ছে, সে সময়ে সরকারি চিকিৎসকেরা ‘সাধারণ জ্বর’ বলে পাশ কাটাতে চাইছেন, গুরুত্ব দিতে চাইছেন নায় এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ বিধায়কের দাবি, যে মহিলা চিকিৎসক মর্জিনাকে ‘রেফার’ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আগেও গাফিলতির অভিযোগ ছিল রোগী ও তাঁর পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই চিকিৎসকের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। এ দিন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক। তিনি জানান, রোগীণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আত্মীয়দের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। মর্জিনাকে যখন অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছিল, সে সময়ে যন্ত্র বিকল হয়ে তিনি মারা যান।

Baduria Rural Hospital Medical Negligence বাদুড়িয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy