E-Paper

সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ, নোটিসে বন্ধ কাজ

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সরকারি জমি ও পুকুর দখল করে একটি বাইক সারানোর গ্যারাজ বাড়িয়ে পাকা নির্মাণ করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ০৭:৪৫
বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য নোটিস দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের।

বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য নোটিস দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের। —প্রতীকী চিত্র।

দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইঘাটার ইছাপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকায় যশোর রোড সংলগ্ন সরকারি জমি ও পুকুর দখল করে একটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নোটিস দিয়ে তাঁদের নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব হাজরা। নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

বিডিও নীলাদ্রি সরকার জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য নোটিস দেওয়া হবে ওই ব্যবসায়ীদের। প্রধান জানিয়েছেন, থানার মোড় এলাকায় পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ওই পুকুরটি যশোর রোডের গায়েই। সেটি আগে জেলা পরিষদের অধীনে থাকলেও পরে পঞ্চায়েতের অধীনে আসে। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুকুরের জমি এবং যশোর রোডের পাশে থাকা সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিজেরা না ভেঙে দিলে প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’’

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সরকারি জমি ও পুকুর দখল করে একটি বাইক সারানোর গ্যারাজ বাড়িয়ে পাকা নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্যারাজটির মালিক, অন্যতম অভিযুক্ত কাঞ্চন দাসের দাবি, ‘‘সকলেই সরকারি জমিতে নির্মাণকাজ করেন। তাই আমিও করেছি। এতে গ্যারাজের কাজে সুবিধা হয়। প্রশাসন মনে করলে ভেঙে দিতে পারে। পঞ্চায়েতের নোটিস পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’’ তবে, নির্মাণ তিনি ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন কাঞ্চন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশাসন মনে করলে ভেঙে দিক।’’ কাঞ্চনের সহযোগী, অভিযুক্ত আর এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে যশোর রোডের দু’পাশের সরকারি জায়গা দখল করে আরও বেআইনি নির্মাণ আছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রধান জানান, আগে যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে এখনই কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে বেআইনি নির্মাণ আর করতে দেওয়া হবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Construction Gaighata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy