E-Paper

পানিহাটিতে বাংলাদেশি গ্রেফতারির ঘটনায় ধৃত আরও এক

ধৃতের নাম অদিতি পাত্র। যদিও তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর আসল নাম প্রিয়া খাতুন। তিনিই পানিহাটির ওই আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০৮:২৬
ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। —প্রতীকী চিত্র।

ঘোলা থানার অধীনে পানিহাটির একটি আবাসন থেকে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেই সূত্রে এ বার আরও এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করল ঘোলা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অদিতি পাত্র। যদিও তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর আসল নাম প্রিয়া খাতুন। তিনিই পানিহাটির ওই আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। তাঁর সূত্র ধরেই আগে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের দুই নাগরিক আবু তাহের মোল্লা ও আসমা খানোম ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার প্রিয়াকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গত বুধবার আবু তাহের এবং আসমাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, পানিহাটিতে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন অদিতি। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, তাঁর আসল নাম প্রিয়া। তিনি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, দক্ষিণবঙ্গের একটি ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি হয়েছিল। ওই চক্রের নেপথ্যে থাকা বাকিদের তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

মঙ্গলবার রাতে পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পার্কে একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে প্রথমে আবু তাহের এবং আসমাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরে অদিতি ওরফে প্রিয়াকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, প্রিয়া ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন। মেদিনীপুরের এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। তবে আদৌ সেই তথ্য ঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পরে দালাল মারফত দক্ষিণবঙ্গের একটি ঠিকানা দিয়ে অদিতি পাত্র নামে তাঁর নতুন পরিচয় তৈরি করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর, বাগুইআটি-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে প্রিয়া থাকছিলেন। গত মার্চে তিনি ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিবেকানন্দ পার্কের আবাসনে থাকতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরেই বাকি দুই ধৃত পানিহাটির ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। সে ক্ষেত্রে প্রিয়া লিঙ্কম্যানের কাজ করতেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ghola Barrackpore Court

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy