E-Paper

তিনটি হাসপাতালে ইতিমধ্যে বিক্রি ৩০টি কিডনি

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কিডনি চক্রের সদস্যেরা একটি কিডনির দাম নিত ১৬ লক্ষ টাকা।

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫১
অশোকনগর পুলিশ স্টেশন।

অশোকনগর পুলিশ স্টেশন। —ছবি : সংগৃহীত

উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের মানুষের কাছে কোনও ভাবে কলকাতা সম্পর্কে এই বার্তা পৌঁছে গিয়েছিল, এখানে সহজে কিডনি পাওয়া সম্ভব। সে কারণেই কিডনির প্রয়োজনে মানুষ এখানে ভিড় করতেন বলে কিডনি বিক্রি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে জানতে পেরেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে তাঁরা জেনেছেন, কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি বিক্রির চক্রের সদস্যেরা সক্রিয় ছিল। দেশের, রাজ্যের বা নেপাল-বাংলাদেশ থেকে কেউ কিডনির সমস্যা নিয়ে ওই তিনটি হাসপাতালে এলে চক্রের সদস্যেরা তাঁদের ‘টার্গেট’ করত। কোনও রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলে চক্রের সদস্যেরা ‘ডোনারের’ ব্যবস্থা করে দিত মোটা টাকার বিনিময়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কিডনি চক্রের সদস্যেরা একটি কিডনির দাম নিত ১৬ লক্ষ টাকা। ডোনারকে দেওয়া হত ৫-লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত চক্রের সদস্যেরা ৩০টি কিডনি বিক্রি করতে পেরেছিল বলে দাবি পুলিশের।

মূলত প্রান্তিক এলাকার অভাবি মানুষদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি দিতে রাজি করানো হত। পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রামের অভাবী পরিবারের মহিলাদের বোঝানোর দায়িত্ব নিত চক্রের মহিলা সদস্যেরা। ধৃত পাঁচ জনের মধ্যেও দু’জন মহিলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলাকে চাপ দিয়ে কিডনি বিক্রি করানোর অভিযোগ উঠেছিল কয়েক দিন আগে। গ্রেফতার করা হয় অশোকনগরের এক ব্যক্তিকে। সে কিডনি বিক্রি চক্রে জড়িত বলে অভিযোগ।

এই চক্রের সঙ্গে বেসরকারি ওই হাসপাতালগুলির কোনও কর্মী জড়িত কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চক্রের সঙ্গে সুদের কারবারিদেরও যোগাযোগ ছিল। তাদের মাধ্যমে ‘পার্টি’ ধরা হত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ashoknagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy