Advertisement
E-Paper

১৮ ঘণ্টা পরেও ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বারাসতের ভস্মীভূত কারখানার শ্রমিকেরা

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বারাসতের বামুনমুড়া কদম্বগাছি এলাকার একটি কারখানায় আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন গ্রাস করে গোটা কারখানা। ১৮ ঘণ্টা পরেও ওই কারখানায় ধিক ধিক করে জ্বলছে আগুন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৫ ১৪:২৬
Barasat Factory fire situation update

বারাসতের কারখানার আগুন এখনও পুরোপুরি নেবেনি। —নিজস্ব চিত্র।

১৮ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তবে এখনও বারাসতের কারখানার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ছাইচাপা আগুন জ্বলছে কারখানায়। সেই আগুন খুঁজে বার করে নেবানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ দমকলকর্মীদের কাছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বারাসতের বামুনমুড়া কদম্বগাছি এলাকার একটি কারখানায় আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন গ্রাস করে গোটা কারখানা। বাদ যায়নি গোডাউনও। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতভর লড়াই করেন দমকলকর্মীরা। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন দফায় দফায় আগুন নেবানোর কাজ করে। তবে রবিবার দুপুর গড়ালেও সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলেই দাবি দমকলের। দাউ দাউ করে না জ্বললেও এখনও কারখানার বিভিন্ন জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ রয়েছে। কারখানার টিনের নীচে চাপা পড়ে আছে। সেই সব চাপা আগুন খুঁজে বার করে নেবানোই মূল লক্ষ্য দমকলের।

দমকলের ডিভিশনাল অফিসার সরোজ বাগ সকালে জানান, ‘পকেট ফায়ার’ নেবানোর কাজ চলছে। রাতভর দমকলের ২০টি ইঞ্জিন কাজ করেছে। তবে এখন এত ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই। কিছু ইঞ্জিন সকালে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে টিনের তলায় ধিক ধিক করে যে আগুন জ্বলছে, তা নেবানোর কাজ কঠিন। ওই সব জায়গায় পৌঁছোনোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। যদিও সকালের পর আর নতুন করে আর আগুন ছড়ায়নি।

কারখানার আশপাশের বাড়িঘর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। তবে তাদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। শুধু তা-ই নয়, ওই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাথায় হাত পড়েছে। জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় প্রায় ৫০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের অনেকে আবার ঠিকা শ্রমিক। কারখানা ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। আদৌ বেতন পাবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে শ্রমিকদের মনে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। পরে ঘটনাস্থলে যান বারাসতের এসডিও সোমা দাস, বারাসাত বিডিও-১ রাজীব দত্তচৌধুরী এবং দেগঙ্গা বিধানসভার বিধায়কা রহিমা মণ্ডল। রহিমার দাবি, তিনি এই কারখানা সম্পর্কে অবগতই ছিলেন না। তবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই কারখানার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান বিধায়ক।

Fire Incident Barasat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy