সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বারাসতের এক কারখানায় আগুন লাগে। তার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তবে এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। স্থানীয়দের দাবি, কারখানার মধ্যে থেকে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। তবে কী থেকে এই বিস্ফোরণ, তা স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, কারখানার মধ্যে থাকা সিলিন্ডারগুলিতে বিস্ফোরণ হচ্ছে। তার ফলেই আগুন ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেগঙ্গা বিধানসভার বিধায়িকা রহিমা মণ্ডল।
শনিবার সন্ধ্যায় বারাসতের বামুনমুড়া কদম্বগাছি এলাকার একটি কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাটি নজরে আসতে প্রথমে স্থানীয়েরাই আগুন নেবানোর কাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশকে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি, যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। আগুন নেবাতে গিয়ে এক জন দমকলকর্মী অসুস্থ হয়েও পড়েন। তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, বর্তমানে ওই দমকলকর্মী সুস্থ রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নির্দিষ্ট করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। তবে কারখানা সংলগ্ন অন্তত ৮০ জন স্থানীয় বাসিন্দার ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান দমকলের ডিজি। রাত ১১টা নাগাদ তিনি বলেন, ‘‘কারখানার আগুন আর ছড়াবে না। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও সময় লাগবে।’’ ওই কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ডিজি জানান, প্রাথমিক ভাবে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলে মনে হচ্ছে। তবে তা এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনাই লক্ষ্য দমকলের। তার পরেই সব বিষয় খতিয়ে দেখা।
অন্য দিকে, ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তা সময় মতো আসেনি। তার ফলেই আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। শুধু কারখানা নয়, তার গোডাউনও আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলেই খবর।