প্রথম বার ‘সফল ভাবে’ হাঁটু প্রতিস্থাপন হল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বারাসতে জেলা হাসপাতাল চত্বরে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরি হলেও এখনও জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো ব্যবহার করছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার পরে কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে প্রথম রোগী হিসাবে আসেন হাবড়ার মাগুরখালির ফিরোজা বিবি। বছর ছেষট্টির বৃদ্ধা বছর পাঁচেক ধরে হাঁটুর সমস্যায় ভূগছিলেন। কলকাতা ছাড়াও ভিন্ রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সব হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই হাঁটু প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। বৃদ্ধার ছেলেরা বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনেন বৃদ্ধাকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় অস্ত্রোপচার করতে যোগাযোগ করেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার শল্য চিকিৎসক অরিন্দম মজুমদার এবং অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের চিকিৎসক মেঘা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শল্য চিকিৎসকদের একটি দল এবং ওটি প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের সাহায্যে ফিরোজার অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকদের দাবি, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অপারেশন টেবিল এখনও ‘জেলা হাসপাতাল পর্যায়ের’ বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ফলে হাঁটু প্রতিস্থাপন করা কঠিন ছিল বলে জানান তাঁরা।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হলেও জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে হচ্ছে। নতুন করে আধুনিক পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচার প্রথম হয়েছে এবং চিকিৎসকেরা তাতে সফল। রোগীকে সুস্থ করতে পেরে খুশি আমরা।’’
ফিরোজার ছেলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘বিনা খরচে অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসকদের চেষ্টায় মা ফের হাঁটতে পারবেন, এটা ভাবতেই পারছি না!’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)