প্রতীকী ছবি
দুপুর থেকে সারা দিন পাত্রপাত্রীর পিছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় তাদের খুঁজে পাওয়া গেল। বিয়ে বন্ধ করেছেন বাগদার বিডিও শান্তনু ঘোষ।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজের অফিসে ফিরে শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘মেয়েটিকে অকালে বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’’
কী হয়েছিল এ দিন?
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে শান্তনুবাবুর কাছে খবর আসে, বেয়ারার এক ব্যক্তি হরিনাথপুরে নিজের চোদ্দো বছরের মেয়ের বিয়ের ঠিক করেছেন। মেয়েটি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। খবর পেয়ে শান্তনুবাবু বেয়ারায় পৌঁছন সেখানে কারও দেখা মেলেনি। তবে জানা যায়, পাত্রপাত্রী সম্ভবত দশ কিলোমিটার দূরে গাঁড়াপোতায় সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে গিয়েছে।
বিডিও পুলিশকে ফোন করে মন্দিরে নজরদারির ব্যবস্থা করতে বলেন। গাঁড়াপোতা পৌঁছে জানতে পারেন, মন্দিরের পুরোহিত সেখানে নাবালিকার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় পাত্রপাত্রী কুড়ি কিলোমিটার দূরে বনগাঁয় সাতভাই কালীতলার মন্দিরে গিয়েছে।
শান্তনুবাবু বনগাঁয় ছোটেন। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়ের কাছে প্রয়োজনীয় পুলিশি সাহায্যের আবেদন করেন। সেখানে পৌঁছেও পাত্রপাত্রীর দেখা মেলেনি। এ বার জানা যায়, কোনিয়ারা ২ পঞ্চায়েতের এক সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে ফোন করে চাপ দেওয়ায় সেই সদস্য মেয়েটির বাবার সঙ্গে শান্তনুবাবুর দেখা করিয়ে দিতে রাজি হন।
সন্ধ্যায় ফের বেয়ারায় যান শান্তনুবাবু। এ বার মেয়ের বাবার সঙ্গে দেখা হয়। বিডিও বোঝান, নাবালিকা বিয়ে দেওয়া বেআইনি। মেয়ের নানা শারীরিক-মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সব শুনে মেয়ের বাবা বলেন, ‘পাশের গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে মেয়ের ভালবাসা ছিল। তাই রাজি হয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি, কাজটা ঠিক হয়নি।’’ আঠারো বছর বয়সের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে শান্তনুবাবুকে মুচলেকা লিখে দিয়েছেন মেয়েটির বাবা। শান্তনুবাবুর কথায়, ‘‘কাজটা শেষমেশ করতে পেরে মানসিক শান্তি পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy