Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

শ্বশুর-জামাই, চলছে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর

লড়াইটা আসলে দুই বেয়াইয়ের। তবে ভোটের দুই বেয়াই মুখোমুখি নেই। সেখানে যুযুধান একজন শ্বশুর, অন্যজন জামাই। শ্বশুর তৃণমূলের। জামাই আম চিহ্নে নির্দল প্রার্থী। শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে আপাতত সরগরম বাদুড়িয়ার বাগজোলা পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রাম।

রফিকুল্লা শেখ ও হাফিজুর রহমান

রফিকুল্লা শেখ ও হাফিজুর রহমান

নির্মল বসু
বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৮ ০৩:০০
Share: Save:

লড়াইটা আসলে দুই বেয়াইয়ের। তবে ভোটের দুই বেয়াই মুখোমুখি নেই। সেখানে যুযুধান একজন শ্বশুর, অন্যজন জামাই। শ্বশুর তৃণমূলের। জামাই আম চিহ্নে নির্দল প্রার্থী। শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে আপাতত সরগরম বাদুড়িয়ার বাগজোলা পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রাম।

শ্বশুর রফিকুল্লা শেখ। তাঁর অভিযোগ, এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তাঁর বেয়াই আব্দুর সহিদ। টিকিট না পাওয়ার রাগে তিনি মেজো ছেলে হাফিজুর রহমানকে আম চিহ্নে প্রার্থী করেছেন। সম্পর্কে হাফিজুর রফিকুল্লার জামাই।

এই লড়াইয়ে বাড়তি মশলা যোগ করেছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে তারা রফিকুলকে সমর্থন করে বসেছে।

হাফিজুরও শ্বশুরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি। তিনি বলছেন, ‘‘শ্বশুরমশাই যে কোনও দলের প্রার্থী হতে পারেন। তাতে আমাদের আপত্তি ছিল না। তাই বলে তৃণমূলের টিকিট। আমার বাবাই গ্রামের প্রকৃত তৃণমূল নেতা। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি দল করেছেন।’’ হাফিজুরের দাবি রফিকুল্লা মাত্র কয়েক মাস আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বাবাকে বঞ্চিত করে ‘নবাগত তৃণমূল’ শ্বশুরকে তৃণমূলের প্রার্থী করা কোনও ভাবেই তাঁরা মানতে পারেননি বলেই আম হাতে ভোট-ময়াদানে টক্কর দিতে নেমেছেন। কিন্তু সিপিএম-কংগ্রেস সংসর্গ? হাফিজুর বলছেন, ‘‘বাবার সম্মান রাখতেই সিপিএম-কংগ্রেস জোটের সমর্থন নিচ্ছি। গ্রামের মানুষ সেটাই চাইছেন।’’ অন্য দিকে, রফিকুল্লা বলছেন, ‘‘গ্রামের মানুষ কী চাইছেন, সেটা ভোটের ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’

তবে শ্বশুর-জামাই যা-ই বলুন না কেন, দু’জনের এই লড়াইয়ের গ্রাম কিন্তু দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। তাতে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শ্বশুর–জামাইয়ের এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফলে দুই পরিবারের মধ্যে মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, একে অন্যের বাড়ির চৌকাঠও মাড়াচ্ছেন না।

এলাকা ঘুরে জানা গেল, এক সময়ে বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তিন বারের কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন রফিকুল্লা। এই আসনে এই নিয়ে তিনি ছ’বার প্রার্থী হলেন। তবে গ্রামের বাসিন্দারা কাকে তাঁদের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন, তা সময়ই বলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE