Advertisement
E-Paper

বহু প্রভাবশালী ধরাশায়ী ভোটে

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় কোন্দল, গোঁজ প্রার্থী, স্থানীয় নেতাদের পিছন থেকে বিরুদ্ধ প্রার্থীদের সমর্থন করা, দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করা— এমন সব কারণ উঠে আসছে প্রাথমিক ভাবে। তবে পরাজিতদের কারও কারও  অহঙ্কার, মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার না করাও যার কারণ হতে পারে বলে দলের একটি সত্রের ব্যখ্যা।

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০১:০৪
Share
Save

পরাজয়ের কারণ কী?

প্রশ্ন করতেই ফোনের ও প্রান্ত থেকে উত্তেজিত কন্ঠস্বর বলে উঠল, ‘‘বিধায়কের কাছে জানতে চান। আমার হারের পিছনে ওঁর ভূমিকাই রয়েছে।’’

বক্তা বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি অনিমা মণ্ডল। এ বার সমিতির ৯ নম্বর আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, ওই আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অসীমা বৈদ্য। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নির্দল প্রার্থী শুভ্রা রায়। অনিমাদেবী হয়েছেন তৃতীয়।

কেন হারলেন সমিতির সভাপতি?

তৃণমূলের নানা স্তরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কী বলছেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস? তাঁর কথায়, ‘‘অনিমাদেবী নিজের বুথেও পরাজিত হয়েছেন। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেই মানুষ তাঁর পাশ থেকে সরে গিয়েছেন।’’

শুধু অনিমাদেবী নন, বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা ব্লকে এ বার পরাজিতের তালিকায় রয়েছেন কয়েকজন শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান, প্রাক্তন প্রধান, যুব নেতা-সহ প্রভাবশালী নেতা-নেত্রীরা।

কেন এমন ফল?

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় কোন্দল, গোঁজ প্রার্থী, স্থানীয় নেতাদের পিছন থেকে বিরুদ্ধ প্রার্থীদের সমর্থন করা, দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করা— এমন সব কারণ উঠে আসছে প্রাথমিক ভাবে। তবে পরাজিতদের কারও কারও অহঙ্কার, মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার না করাও যার কারণ হতে পারে বলে দলের একটি সত্রের ব্যখ্যা। বিরোধীদের জায়গায় জায়গায় জোটবদ্ধ হওয়াটাও শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দিতে সাহায্য করেছে। পরাজিতরা বেশির ভাগই বিজেপি প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। যা আবার বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘ওই সব প্রার্থীদের হারের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলের কেউ যুক্ত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ গাইঘাটা ব্লকের জলেশ্বর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অঞ্জনা বিশ্বাস পরাজিত হয়েছেন। তাঁকে হারিয়েছেন নির্দল প্রার্থী নীলিমা মণ্ডল। এলাকায় তাঁর পরিচয় তৃণমূল সমর্থক হিসাবেই।

গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ নম্বর আসনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাসের ছেলে তথা জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস। তিনি বিজেপি প্রার্থী সঞ্জীব চৌধুরীর কাছে ১৭১ ভোটে হেরেছেন। এখানে কোনও গোঁজ প্রার্থী ছিল না। হেরেছেন স্থানীয় ইছাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা মণ্ডল ও শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘দলের একাংশের সহযোগিতা পাইনি বলেই এই ফল।’’

স্থানীয় এক নেতার স্বীকারোক্তি, ‘‘জেতানোরও জন্যও গা ঘামাইনি।’’ বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্তোষ রায়, ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সন্তোষ দাস, কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হেমা সরকার, দিঘারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তনুশ্রী মজুমদার পরাজিত হয়েছেন। এ ছাড়া, আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিনতী সাহার স্বামী সুভাষ সাহা পরাজিত হয়েছেন। মিনতিদেবীর পরিবর্তে এ বার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সুভাষ। প্রাক্তন প্রধান সন্তোষ নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। নির্দল প্রার্থীকে দলের একটা সমর্থন করেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। হেমা ও সুভাষের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ বহু দিনের। বাগদা ব্লকে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অনিমেষ বাইন এ বার সমিতির ১৩ নম্বরে আসনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বিজেপি প্রার্থী অমৃতলাল বিশ্বাসের কাছে ৫৩৮ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এখানে প্রথমে গোঁজ প্রার্থী থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাঁরা প্রার্থিপদ তুলে নিয়েছিলেন। সমিতিরই আসনের অধীনে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে তৃণমূল ভাল ফল করলেও অনিমেষবাবু নিজে পিছিয়ে ছিলেন।

West Bengal Panchayat Elections 2018 TMC Defeat

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।