E-Paper

বিধাননগরে ১৫টি জলাধারের সংস্কার, ব্যবহার আধুনিক প্রযুক্তিরও

স্থানীয়দের একাংশ জানান, নিয়মিত জল সরবরাহ করা হলেও ওই সব জলাধার ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ০৮:২৪
আমূল সংস্কার হচ্ছে সল্টলেকে জলের ট্যাঙ্কের।

আমূল সংস্কার হচ্ছে সল্টলেকে জলের ট্যাঙ্কের। নিজস্ব চিত্র।

সল্টলেকে ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলির আমূল সংস্কারের কাজ শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা। এর আগে ওই সব জলাধারের মেরামতির কাজ হলেও সার্বিক ভাবে সংস্কারের কাজ হয়নি বলেই দাবি পুর প্রশাসনের। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকলেও
একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই বিভিন্ন দিক থেকে পর্যালোচনা করে দীর্ঘ মেয়াদে জলাধার, পাম্পের আমূল সংস্কারের পরিকল্পনা করে পুরসভা। সূত্রের খবর, এর জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্টও তৈরি করা হয়। এর পরে অম্রুত প্রকল্পের আওতায় সেই বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট অনুমোদিত হয়।

স্থানীয়দের একাংশ জানান, নিয়মিত জল সরবরাহ করা হলেও ওই সব জলাধার ক্রমশ
বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। কখনও জলাধারের বিম, কখনও অন্য অংশ ভেঙে পড়ছিল। এ ভাবে চলতে থাকলে জল সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশঙ্কা
তৈরি হয়েছিল বলে পুরকর্তা থেকে আধিকারিকদের একাংশের দাবি।

পুরসভা সূত্রের খবর, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
বাড়ছে দৈনিক জলের চাহিদা। সেই জোগান দিতে গিয়ে দেখা যায়, জলাধারগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। সত্তরের দশক থেকে তৈরি হওয়া এক-একটি
জলাধারের বয়স ৫০ বছর পেরিয়েছে। জলাধার ও পাম্পের সাধারণ মেরামতিতে খরচ হলেও কাজের কাজ হচ্ছিল না। রিজ়ার্ভার থেকে প্রয়োজনীয় জল ওভারহেড ট্যাঙ্কে তোলা যাচ্ছিল না।
কিছু পরিমাণ জল রিজ়ার্ভারে থেকে যাচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধানেই আমূল সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫টি জলাধারের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। তবে, শুধু সংস্কার নয়, জলাধার এলাকার সৌন্দর্যায়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের দাবি। অম্রুত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। তবে জল সরবরাহ ঘিরে আরও পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। সেই
হিসেবে নতুন একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তুলসী সিংহরায়ের দাবি, জলাধার সংস্কারের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামী ৩০ বছর এই সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই তাঁর দাবি। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ভবিষ্যতের স্বার্থেই এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

water tank

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy