পুরভোটের আগে বাইরে থেকে দাগি অপরাধীর ভিড় বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায়। কুখ্যাত সব আসামীরাও ফিরছে জেলায়। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা মারধর, হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বুধবার পুলিশ সুপারের কাছে এমনই সব অভিযোগ করলেন বসিরহাটের বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবগড় এলাকা থেকে সুব্রত রায় নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি পাইপগান মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। সুব্রতবাবু ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুরেন রায়ের ছেলে। মিথ্যা মামলায় সুব্রতবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি তুলে বুধবার বনগাঁ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। শমীকবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের সহযোগিতায় এ ভাবেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের ভীতি প্রদর্শন বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে চলেছে তৃণমূল।’’ এর দিনকয়েক আগেই অশোকনগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রমা তালুকদারের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বনবনিয়ায়। শমীকবাবুর অভিযোগ, ‘‘এ ভাবেই বিভিন্ন জায়গায় পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে, দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়া হচ্ছে।’’ সব থেকে বেশি অভিযোগ রয়েছে বনগাঁ, বসিরহাট, টাকি, গোবরডাঙা বারাসত, মধ্যমগ্রাম পুর এলাকায় বলে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে বলে দাবি শমীকবাবুর।
পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘উনি বেশ কিছু কথাবার্তা বলেছেন। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ করেননি। তেমন অভিযোগ পেলে অবশ্যই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’
শমীকবাবুকে ‘ছোট্ট ছেলে’ বলে টিপ্পনি কেটে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ দিন বলেন, ‘‘কে শমীক? ও তো ছোট্ট ছেলে। সবে একটা আসনে ক’দিন আগে জিতেছে। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা একটা-দুটো আসন পেতে পারে, একটি পুরসভাও পাবে না।’’
বাইরে থেকে দুষ্কৃতী জড়ো করা প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর জবাব, ‘‘এ সব অভিযোগের ভিত্তি নেই। হারবে বুঝতে পেরে বিজেপি এমন নাটক করছে।’’