Advertisement
০৪ মে ২০২৪
BJP Gaighata

নিহত বৃদ্ধার বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি

শুক্রবার বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কাননের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪০
Share: Save:

গাইঘাটার মানিকহীরায় বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায়ের বৃদ্ধা মা কাননকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়কে গ্রেফতারের দাবি তুলল।

বুধবার রাতে খুনের পরেই অভিযুক্ত সমীর মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, সমীরকে মদত দিয়েছেন নিরুপম। তাই তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে। নিরুপম অভিযোগ মানেননি। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আর কেউ যুক্ত থাকলে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের পরিবার থানায় যে লিখিত অভিযোগ করেছে, সেখানে নিরুপমের নাম নেই। সমীর ছাড়াও তার মা ও বাবার নাম আছে। তদন্ত চলছে। আর কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

শুক্রবার বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কাননের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে কাননের পুত্রবধূ পাখি বলেন, ‘‘আমাকে মারধর করে সমীর। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছিলাম। আমাকে বাঁচাতে এসেই শাশুড়িকে খুন হতে হল। সমীরকে ইন্ধন দিয়েছেন নিরুপম। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।’’ পাখির দাবি, ‘‘ঘটনার রাতেই মাথা ফাটা অবস্থায় ছুটে গিয়েছিলাম নিরুপমের বাড়ি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি।’’ নিরুপমের পাল্টা দাবি, ‘‘ওই রাতে আমার কাছে কেউ আসেননি। ঘটনাটি জানতে পেরে আমিই পুলিশে খবর দিই। বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। মেরে বাবার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’

তৃণমূলের একটি সূত্র মানছে, যারা নিরুপমের বাড়িতে সে দিন চড়াও হয়, তাদের মধ্যে সাধারণ গ্রামবাসীও ছিল। ঘটনার পর পুলিশ নিরুপমের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। বাড়িতে তালা দেওয়া হয়। রয়েছে পুলিশ পাহারাও। গ্রামবাসীর একাংশের ক্ষোভের কারণেই কি তিনি বাড়িছাড়া? নিরুপমের দাবি, ‘‘বাবা অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। বাবা সুস্থ হলেই ওঁকে নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরব।’’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনুর অভিযোগ, ‘‘এই খুনের ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদত আছে। অভিষেক মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে এসে মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। সেই ক্ষোভ থেকে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছেন।’’

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘নিরুপমের বাড়িতে পুলিশ পাহারা বসানো হল! অথচ, যে বাড়িতে খুন হল সেখানে লোকেরা আতঙ্কে আছেন।’’

তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘শান্তনু-সহ বিজেপি নেতারা এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছেন। অভিষেক ঠাকুরনগরে আসার পর পঞ্চায়েত ভোটে শান্তনু, সুব্রত ঠাকুরেরা নিজের বুথে পরাজিত হয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gaighata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE