অনুষ্ঠান: বসিরহাটে। নিজস্ব চিত্র
চক্ষুদাতা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল শংসাপত্র ও মেমেন্টো। শনিবার ৩২তম চক্ষুদান পক্ষে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে বসিরহাট টাউন হাইস্কুলের আলোকতীর্থ মঞ্চে। উদ্যোক্তা বসিরহাটের সেবায়ন চক্ষুসংগ্রহ কেন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন শিকরা (কুলিনগ্রাম) রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী বিমুক্তাত্মানন্দ, চিকিৎসক গণেশ মজুমদার, সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, বীরেন মণ্ডল, সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, হিমাংশু শেখর মণ্ডল, সংস্থার সম্পাদক মদন সাহা, তপন দে প্রমুখ। গত এক বছরে এই সংস্থাটি ৮২ জনের মরণোত্তর চক্ষু সংগ্রহ করেন। যাঁরা চোখ দিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারকে শনিবার সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
১৯৯৫ সালে বসিরহাট চৌমাথায় গড়ে ওঠে সেবায়ন চক্ষুদান কেন্দ্র। প্রথম দিকে মানুষ চোখ দানে আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও সংস্থার সদস্যরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, দেহ পুড়িয়ে কিংবা কবরস্থ করার আগে যদি চোখ দান করা যায়, তা হলে সেই চোখ দিয়ে অনেক মানুষ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবেন। তারই ফল, বসিরহাটের সেবায়ন সংস্থা ৬৭৩ জোড়া চোখ সংগ্রহ করেছে। উদ্যোক্তারা সাইকেল র্যালি, পথসভা, স্কুলে স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের এ বিষয়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। স্বামী বিমুক্তাত্মানন্দ বলেন, ‘‘মানুষের কল্যাণে সংস্থাটির সদস্যরা যে ভাবে চোখ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আজ বহু মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে।’’ সেবায়নের সম্পাদক মদন সাহা বলেন, ‘‘শুরুর দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। মৃত্যুর পরে চোখ দানের কথা বললে, মারধর খাওয়ার ভয়ে পালাতে পর্যন্ত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy