বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগ উঠল বারুইপুরে। সঙ্গে ওই ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রী বারুইপুর থানা এলাকার বেতবেড়িয়ার বাসিন্দা। চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তিনি৷ তাঁর কলেজে পরীক্ষা চলছে। সোমবারও নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, পরীক্ষা শেষের পর কলেজ থেকে বেরোতেই তিন যুবক স্কুটিতে চেপে কলেজের সামনে আসেন। তার পর ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাঁকে স্কুটিতে তুলে নেন যুবকেরা। অপহরণের পর শুরু হয় মারধর। সঙ্গে চলতে থাকে লাগাতার হুমকি। চিৎকার করলে মুখে অ্যাসিড ছোড়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্কুটিতে করে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরির পর ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চম্পট দেন তিন যুবক।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ওই তিন যুবক বেতবেড়িয়া রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতেন তিন যুবকের এক জন। ছাত্রীর ফোন নম্বর নিয়ে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে নানা ভাবে বিরক্ত করা হত। বিয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল৷ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই এই বিপত্তি! সোমবার কলেজের সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণের পর তাঁকে গৌরদহ এলাকায় নিয়ে গিয়ে আর এক প্রস্ত মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট লেগেছে। রাতেই তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়েছে।
সোমবার রাতেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার৷ ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই ছাত্রী। তরুণীর অভিযোগ, পরের দিন কলেজে পরীক্ষা দিতে এলে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে রাতেই মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুজু হয়েছে অপহরণের মামলা। অভিযুক্ত তৃতীয় জনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে৷ মঙ্গলবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে৷ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷