E-Paper

অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা, ধৃত ১

স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে জানিয়েছেন, ওই সংস্থা সাত-আট বছর ধরে চলছে। হাবড়ার পৃথিবা, কুমড়া সহ কয়েকটি এলাকা এবং আমডাঙায় অফিস আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মোটা সুদের লোভে একটি সংস্থায় টাকা জমা রেখে প্রতারণার শিকার হলেন হাজার সাতেক গ্রাহক।

ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ায়। সোমবার সকালে এক মহিলা থানায় অভিযোগ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সংস্থার এক কর্মীকে। ধৃতের নাম জুলফিকার মল্লিক। তার বাড়ি হাবড়ার যশুর রাঘবপুর এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকে জানিয়েছেন, ওই সংস্থা সাত-আট বছর ধরে চলছে। হাবড়ার পৃথিবা, কুমড়া সহ কয়েকটি এলাকা এবং আমডাঙায় অফিস আছে। সুচিত্রা হাজরা নামে হাবড়ার কুমড়ার বাসিন্দা, প্রতারিত এক গ্রাহক জানিয়েছেন, তিনি ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। প্রায় চার বছর হল, সুদ-আসলে অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার কথা। ঘর বানাবেন বলে সংস্থার কাছে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্মীরা কেউ ফোন ধরছেন না। অফিসে গিয়েও
দেখেন, তালাবন্ধ।

সোমবার সংস্থাটির কয়েক জনের নামে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। জুলফিকারকে সোমবার বারাসত আদালতে তোলার পরে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের
খোঁজ চলছে।

সংস্থাটি গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছে বলে জানা গিয়েছে। দৈনিক, সাপ্তাহিক ও এককালীন ফিক্সড ডিপোজ়িট আকারে সংস্থাটি গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা স্কিমে টাকা তুলত।

সারদা, রোজভ্যালি সহ একাধিক অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা যখন পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে, তারপরেও কেন এমন সংস্থাকে বিশ্বাস করলেন?
ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস ছাড়া অন্যত্র টাকা রাখলেন কেন? এক গ্রাহক জানান, এলাকায় মহিলা সমিতি যেমন চলে, ভেবেছিলেন, সে
রকমই কোনও সংস্থা। টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোথাও যেতে
হচ্ছে না, বাড়ি থেকেই নিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, সুদও দেওয়া হত বেশি। এ সব ভেবে অল্প অল্প করে টাকা রেখেছিলেন সংস্থায়। এখন মাথায় হাত অনেকেরই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Habra

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy