প্রথম দিনই বিপত্তি উচ্চ মাধ্যমিকে। উত্তর লেখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ১৫ মিনিট কম সময় দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপের একটি স্কুলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ প্রায় কিছু পরীক্ষার্থীর অভিভাবক এবং দু’টি স্কুলের শিক্ষকরা। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন তাঁরা। কেন কম সময় দেওয়া হল তা নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকেও বেশ চাপানউতোর চলে কাকদ্বীপ এসডিও অফিসে।
কাকদ্বীপ শিশুশিক্ষায়তন এবং সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরে কাকদ্বীপের প্রায় সাড়ে চারশো ছাত্রছাত্রীর সিট পড়েছিল কাকদ্বীপেরই কালীনগর দ্বারিকানাথ ইনস্টিটিউশনে। শিশুশিক্ষায়তনের ছাত্রী তিয়াসা মাইতির বাবা স্বপনবাবু নিজেও একটি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্কুলের জন্য আমার মেয়ের পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেল। এর দায় কে নেবে? মেয়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছে।’’ তিয়াসার মতো আরও অনেক ভাল ভাল ছাত্রছাত্রীই কম সময়ের জন্য খারাপ পরীক্ষা দিয়ে হতাশ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার যুগ্ম আহ্বায়ক অজিত নায়েক বলেন, ‘‘প্রথমবার সিট পড়েছে বলে হয়তো বুঝতে পারেনি। আমি খতিয়ে দেখছি বিষয়টি।’’
শিশুশিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ প্রামাণিকদের দাবি, পর্ষদের নিয়ম বলছে, সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র দিতে হবে। ১টা ১৫ মিনিটে তা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নিতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক পরীক্ষার্থীই এসে বলেছে তাদের সেই সময় দেওয়া হয়নি। তাই দুই স্কুলের তরফে আমরা এসডিওর দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’ সুন্দরবন আদর্শের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
অভিযোগ, ১০টায় প্রশ্নপত্র দিলেও অনেক ছাত্রছাত্রীকেই উত্তরপত্র দেওয়া হয়নি। তা দেওয়া হয়েছে ১০টা ১৫ মিনিটে। উত্তরপত্র নিয়ে নেওয়া হয়েছে বেলা ১ টা ১৫ মিনিটে। এ দিন বাংলা পরীক্ষায় এই অসুবিধার জন্য শেষ মুহূর্তে অনেককেই প্রশ্ন ছেড়ে আসতে হয়েছে বলে দাবি করছে ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকরা। বুধবার বৃহস্পতিবার তাদের লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা সহ স্কুল পরিদর্শকের দফতরে।
কেন হল এই গোলমাল?
কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষই ওই স্কুলের কেন্দ্র ইনচার্জ। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দুটি স্কুলের তরফে এরকম একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি কাউকে এরকম নির্দেশ দিইনি। পরীক্ষার পর সমস্ত পরীক্ষকেরা বেরিয়ে গিয়েছিল। আগামীকাল সবাইকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
প্রশাসনের তরফেও ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসডিও রাহুল নাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy