E-Paper

রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য রাখার ফলেই কি দুর্ঘটনা, উঠছে প্রশ্ন

একটি মোটর বাইককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই বাস বালির স্তূপের উপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে দোকানের ভিতরে।

নির্মল বসু 

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৬
দুর্ঘটনাস্থলে ইমারতি সামগ্রী পড়ে আছে রাস্তার ধারে।

দুর্ঘটনাস্থলে ইমারতি সামগ্রী পড়ে আছে রাস্তার ধারে। নিজস্ব চিত্র ।

ব্যস্ত হাইওয়ে। সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে বিপদ। শনিবার মিনাখাঁয় দুর্ঘটনার পরে বাসন্তী হাইওয়ের যাত্রীদের অনেকেই মনে করছেন, হাইওয়ের দু’পাশে বিভিন্ন জায়গায় ডাঁই করা ইমারতি সামগ্রী ও বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য মাটি খুঁড়ে রাখার ফলে রাতের পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বাসন্তী হাইওয়েতে মিনাখাঁর জয়গ্রামের কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের। একটি মোটর বাইককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই বাস বালির স্তূপের উপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে দোকানের ভিতরে। পর পর দু’টি দোকান ও একটি ঘর ভেঙে যায়। তবে যে বাইক চালককে বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ হারান বাস চালক, সেই বাইক চালকেরও মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। মৃত বাইক চালক মলয় মণ্ডলের (৩৮) বাড়ি মিনাখাঁ এলাকায়। দোকানের ভিতরে থাকা রহিমা বিবি (৫৮) ও বাস চালক আইনুল মণ্ডলেরও (৪২) মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে।

স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্চিতা পাত্র, বলরাম সর্দার বলেন, ‘‘ব্যস্ত রাস্তার ধারে এ ভাবে বালি, পাথর, মাটি ফেলে রাখায় পথ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে মিনাখাঁ পঞ্চায়েত অফিসের পাশে টোটো এবং অটোর মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। জখম হয় চার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও এক অভিভাবক। সে ক্ষেত্রেও রাস্তার ধারে মাটি খুঁড়ে রাখায় টোটো উল্টে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বাসন্তী হাইওয়ের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ঠিকাদার সংস্থা বিদ্যুতের তার বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ে বাসন্তী হাইওয়ের উপরে রেখে রেখেছে। রাস্তার ধারে মাটি পড়ে থাকার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

রাস্তার ধারে ইমারতি সামগ্রী মজুত করে ব্যবসা করা নিয়ে মিনাখাঁর বিধায়িকা উষারানি মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’’

রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন,‘‘কোনও মতেই রাস্তার পাশের জায়গা দখল করা চলবে না। তেমন হলে দখলদারির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Basirhat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy