Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

করোনা আক্রান্ত সন্দেশখালিতে

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের দু’টি ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে কলকাতার যোগ মিলেছিল। 

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট ও ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০২:৩৯
Share: Save:

ফের এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজিটিভ এল বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালিতে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগের দু’টি ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে কলকাতার যোগ মিলেছিল।

এ বারও যে ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মিলেছে, তিনিও চিকিৎসার জন্য গত কয়েক দিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন নার্সিংহোমে ঘোরাঘুরি করেছেন। এখন আক্রান্তের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের ১৩ জনকে হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তির অর্শ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে তাঁকে ভর্তি করা হয় ঘটকপুকুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে। সেখানে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় মুকুন্দপুরের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তির লালারস পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এই খবর পাওয়ার পরে পুলিশ, বিডিও এবং স্বাস্থ্য দফতর করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির পরিবারের তিন জন-সহ আত্মীয়, পরিচিত এমন আরও ১০ জনকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠায়। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি স্যানিটাইজ করা হয়। ওই এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান-বাজার।

অন্য দিকে, ঘটনার পরে ভাঙড় ১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটকপুকুরের ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়া হয়েছে। নার্সিংহোমের কর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর থানা এলাকায় সোমবার রাতে এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর থেকেই রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। হঠাৎ করেই মানুষ সচেতন হচ্ছেন। রাস্তায় লোকজন অকারণ ঘোরাঘুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। যে পঞ্চায়েত এলাকায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, সেখানকার সব ক’টি বাজার বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। সড়ক ছিল কার্যত সুনসান। খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই এলাকার মানুষ অবশেষে যে সচেতন হচ্ছেন। এটাই স্বস্তির।’’

তবে সন্দেশখালির ভাঙাতুষখালি গ্রামের ওই ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ার পরেও এলাকার মানুষ সচেতন হচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকেরই। এখনও বসিরহাটে খোলা হচ্ছে দোকান। চলছে ছোট-বড় গাড়িও। লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন কেউ কেউ। পুলিশ জানিয়েছে, ধরপাকড় চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Sandeshkhali Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE