ফাইল চিত্র।
টিকা কার্যত অমিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলার অধীন দুই স্বাস্থ্য জেলার অধিকাংশ কেন্দ্র থেকেই আর ভ্যাকসিন মিলছে না। মঙ্গলবার অধিকাংশ টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ ছিল।
এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার ক্যানিং ২ ব্লকের মঠেরদিঘি ও খুঁচিতলা ব্লক হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যান বহু মানুষ। ভাঙড় ১ ব্লক হাসপাতালেও এ দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। ভাঙড় ২ ব্লক হাসপাতালে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মাত্র ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালেও একশোর কিছু বেশি মানুষ টিকা পান। গোসাবা ও বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে প্রায় একশোজন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তবে এ দিন মূলত পরিবহণ কর্মী, হকারদেরই টিকা দেওয়া হয়। আমজনতা সে ভাবে টিকা পাননি।
এই স্বাস্থ্য জেলার অধীন ১৬টি ব্লক হাসপাতাল, ২টি মহকুমা হাসপাতাল, ৬টি পুরসভা এলাকা মিলিয়ে প্রায় তিনশোটি কেন্দ্র থেকে প্রথম দিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এ দিন মাত্র ২৫টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিকে দৈনিক প্রায় ২২ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে ব্লক হাসপাতাল, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ৫০০-১০০০ জনের টিকাকরণ হত। এখন অধিকাংশ কেন্দ্রে টিকা মিলছে না। যেখানে মিলছে, সেখানে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যাটা নেমে এসেছে ১০০-১৫০ জনে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “আমাদের হাতে ভ্যাকসিন প্রায় নেই। যে কারণে এ দিন অধিকাংশ সেন্টার বন্ধ রাখতে হয়েছে। নতুন করে ভ্যাকসিন না আসলে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে।”
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় শুরুতে ২২২টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। পরে তা কমে দাঁড়ায় ৫৮টি কেন্দ্রে। এ দিন তার মধ্যেও অধিকাংশই বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এক সময়ে দৈনিক ৫০০-৭০০ মানুষ টিকা পেতেন। মঙ্গলবার সেখানে দু’শোরও কম টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য জেলায় নোডাল অফিসার রবিউল ইসলাম গায়েন বলেন, “সামান্য কিছু টিকা এসেছে। তার মধ্যে থেকে পরিবহণ কর্মী, হকার, আনাজ বিক্রেতা, ব্যাঙ্ক কর্মী ও ডিলারদের দিতে হবে। ফলে বেশিরভাগ কেন্দ্রে টিকা পাঠানো যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy