বিপজ্জনক: ফাটল ধরেছে বাঁধে। নিজস্ব চিত্র
বাঁধ বসে গিয়েছে। বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে সেখানে। ধস নেমেছে বাঁধে। যে কোনও সময়ে ঘর-বাড়ি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের হাসনাবাদের আংনাড়া এলাকার তিরিশ-চল্লিশটি পরিবারের মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সকলে সব জানে, কিন্তু বাঁধ মেরামতির উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয় না।
হাসনাবাদ ব্লকের হাসনাবাদ সেতু-সংলগ্ন আংনাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী। সংস্কারের অভাবে এলাকার নদীবাঁধ বেহাল। এক সময়ে ওই এলাকা দিয়ে নৌকো পারাপারের জন্য জেটি ছিল। তখন প্রশাসনও নদীবাঁধের দিকে নজর রাখত। কিন্তু বনবিবি সেতু নির্মাণের পর থেকে নদীবাঁধের উপরে নজরদারি চালানো প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
গ্রামের মানুষের দাবি, নদীবাঁধের বর্তমান পরিস্থিতি আর দেখতে আসেন না কোনও দফতরের কোনও আধিকারিক। ফলে নদীবাঁধের ভগ্নদশা। ইতিমধ্যে নদীপাড়-সংলগ্ন ইটের রাস্তা ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। দিনের পর দিন বাঁধ ভেঙে নদী ঢুকে পড়ছে গ্রামের ভিতরে।
এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মণ্ডল বলেন, ‘‘নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে একেবারে বাড়ির দেওয়ালে এসে ঠেকেছে। যে কোনও সময়ে বাড়িসুদ্ধ আমরা সকলে তলিয়ে যেতে পারি নদীতে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙনের কথা প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও পাকাপাকি সুরাহা হয়নি। তবে সেচ দফতরের তরফে বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও বাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘এই বাঁধ সংস্কার করার মতো টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে থাকে না। আমি বিডিও ও সেচ দফতরকে বাঁধের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়েছি। যাতে বাঁধের কাজ ভাল ভাবে হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy