দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির হারালে প্রস্তাবিত আতশবাজির ক্লাস্টার তৈরির জন্য জায়গা পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আতশবাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত চম্পাহাটি। সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কার্যত ঘরে ঘরে আতশবাজি তৈরি হয়। এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আতশবাজি শিল্পকে এক ছাদের তলায় আনতে ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। আতশবাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে ক্লাস্টার তৈরির জন্য জায়গা দেখে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সেই জায়গাই পরিদর্শন করেন জেলাশাসক-সহ অন্য সরকারি আধিকারিকেরা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সর্দার এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুষ্পা।
এ দিন হাব, ক্লাস্টার ও সেখানে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন আধিকারিকেরা। জেলাশাসক বলেন, ‘‘নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়িতে বাজি তৈরির অনুমতি দেওয়া যাবে না। সেই কারণেই জনবসতি থেকে দূরে বাজি ক্লাস্টারের জমি দেখা হয়েছে। হাব, ক্লাস্টার সব নিয়ম মেনেই হবে। জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।’’
বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামের মধ্যে বাজি তৈরিতে ঝুঁকি থাকে। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাইছি, ফাঁকা জায়গায় হাব তৈরি হোক। সরকারও উদ্যোগী হয়েছে। হাব তৈরি হলে আমরা উপকৃত হব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)