পাড়ের দিকে টেনে আনা হচ্ছে ট্রলারটিকে। ছবি: দিলীপ নস্কর।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ‘এফ বি সূর্যনারায়ণ’ ট্রলারের হদিশ মিলল মঙ্গলবার। ট্রলারের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয়েছে পাঁচ মৎস্যজীবীর দেহ। নিখোঁজ আরও দুই মৎস্যজীবীর খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগে কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দর থেকে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বেরিয়েছিল ‘সূর্যনারায়ণ।’ নামখানা ঘাট থেকে ‘এফবি মহারুদ্র’ ট্রলারে বেরোন ১৪ জন মৎস্যজীবীর আর একটি দল। রবিবার গভীর সমুদ্রে ঝড়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলার দু’টি উল্টে যায়। কাছে থাকা অন্য কয়েকটি ট্রলার এগিয়ে এসে কয়েক জনকে উদ্ধার করে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি মহারুদ্র ট্রলারের ৭ জনের। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের সন্ধানে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে সোমবার ৭টি ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেগুলি জম্বুদ্বীপের কাছে অপেক্ষা করছিল। মঙ্গলবার আবহাওয়ার উন্নতি হলে ট্রলারগুলি বেরিয়ে পড়ে। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ জম্বুদ্বীপ থেকে বেশ কিছুটা দূরে ‘সূর্যনারায়ণ’-এর খোঁজ মেলে। ৭টি ট্রলার মিলে ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীপথ ধরে ঈশ্বরীপুর গ্রামের কাছে ট্রলারটিকে পাড়ে আনা হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, উল্টে যাওয়া ট্রলার সোজা করে জল ছেঁচে বের করার সময়ে দেখা যায়, গুটিয়ে রাখা জালে জড়িয়ে রয়েছে পাঁচ জনের দেহ। সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ঘটনাস্থলে যান। মন্টুরামবাবু জানান, ৫ জন মৎস্যজীবীর দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।”
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজন মাইতির অভিযোগ, “ট্রলার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উদ্ধারের সমস্ত কাজ আমাদেরই করতে হচ্ছে। এমনিতেই মৎসজীবীরা সমুদ্রে যাওয়ার পরে কোনও সমস্যায় পড়লে সরকার থেকে কোনও সাহায্য মেলে না।” এ বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “অভিযোগগুলির সব ঠিক নয়। সমস্ত বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছি। ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy