Advertisement
E-Paper

শিশুর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাতি দেগঙ্গায়

রবিবার রাতে গোসাঁইপুরের ওই বাড়িটিতে ঢোকে ডাকাতেরা। সেখানে থাকেন আবু হোসেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩৬
হামলা: এক মহিলার (ডান দিকে) কান ছিঁড়ে কেড়ে নেওয়া হয় দুল। রবিবার রাতে, দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

হামলা: এক মহিলার (ডান দিকে) কান ছিঁড়ে কেড়ে নেওয়া হয় দুল। রবিবার রাতে, দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

এক শিশু ও এক বালককে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে একটি বাড়িতে লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা।

শুধু তা-ই নয়, বাড়ির এক মহিলার কান ছিঁড়ে দুল নিয়ে নেয় ডাকাতেরা। লুটপাট চালানোর পরে শূন্যে বোমা ও গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দেগঙ্গা থানার চাঁপাতলার গোসাঁইপুর এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

রবিবার রাতে গোসাঁইপুরের ওই বাড়িটিতে ঢোকে ডাকাতেরা। সেখানে থাকেন আবু হোসেন। প্রথমে তাঁর বাড়িতেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে তাঁর ভগ্নীপতি গুলজার আলম নামে আর এক জনের বাড়িতেও হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। দু’টি ঘটনাতেই তারা ছোটদের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে কাজ হাসিল করে।

কাজের সুবাদে কলকাতায় কলেজ স্ট্রিটে থাকেন গুলজার। তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাত ১টা নাগাদ ডাকাতেরা হানা দেয়। বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় শ্যালক আবুর ঘরের টালির চাল ভেঙে ভিতরে ঢোকে ডাকাতেরা। আবুর স্ত্রী আমেনাবিবি তাঁদের দেড় বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে ওই শিশুর মাথায় ও বুকে দু’টি বন্দুক ঠেকায়। তার পরে আমেনার থেকে টাকা ও আলমারির চাবি চায়। তাঁর কান থেকে দুল খুলে নেয়। আমেনা জানান, তিনি আলমারির চাবি ডাকাতদের দিয়ে দেন। তবে আলমারিতে কিছু ছিল না।

গুলজারের অভিযোগ, আবুর পরে তাঁর ঘরে দরজা ভেঙে ঢোকে ডাকাতেরা। তাঁর ১১ বছরের ছেলে গোলাপের বুকেও বন্দুক ধরা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে গুলজারের স্ত্রী তাসলিমার পোশাক খুলে তাঁকে মারধর ও নিগ্রহ করে ডাকাতেরা। তাসলিমার কান ছিঁড়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুল। ঘণ্টাখানেক সময় ধরে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয় দুষ্কৃতীরা।

সোমবার সকালে জখম তাসলিমার চিকিৎসা করানো হয় স্থানীয় বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এ দিন জখম তাসলিমা কাঁপতে-কাঁপতে বলেন, ‘‘আমার স্বামী বিরিয়ানির কারিগর। কোনও মতে একটা বাড়ি করেছি। ডাকাতেরা টাকা না পেয়ে বন্দুক দিয়ে মারধর করে চলে গেল।’’ গুলজার বলেন, ‘‘কলকাতায় কাজের জন্য এক-দু’মাস অন্তর বাড়ি ফিরি। এ পরে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে কী ভাবে কাজে যাব সেটাই ভাবছি।’’

Crime Dacoit Injury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy