এখানেই পুণ্যস্নান করতে হয়। নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গার জলে ভেসে থাকা আর্বজনা সরিয়েই ডুব দিলেন বছর পঞ্চান্নের রমলা গোস্বামী। সূর্য প্রণাম করে মন্ত্রও পড়লেন। পাড়ে উঠে বললেন, ‘‘এত কিছু হয়, কিন্তু গঙ্গার আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। নোংরার মধ্যেই স্নান সারতে হল।’’
শনিবার মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের আদি গঙ্গায় মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বহু মানুষ স্নান করলেন। প্রত্যেক বছরই দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন এখানে স্নান করতে। ওই গঙ্গায় পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য ৪টি ঘাট রয়েছে। মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতি ও দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিচালনায় মহাশ্মশান-লাগোয়া ওই গঙ্গায় স্নানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ঘাট, জল কিছুই পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ মানুষের। রমলাদেবী বলেন, ‘‘জল এত নোংরা, স্নান সেরে উঠে গা চুলকাচ্ছে।’’দক্ষিণ বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমিয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গঙ্গা স্নানের আগেই পরিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু ফের নোংরা হয়ে গিয়েছে।’’ এ দিন সকালে এই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, গঙ্গার দক্ষিণ দিকে ঘাটগুলির পাশে ভাসছে কলাপাতা, খড়কুটো, প্লাস্টিকের প্যাকেট। প্রায় ঘোলাটে জলে একে একে ডুব দিচ্ছেন। জয়রাম হালদার, কৈলাস বৈদ্যদের আক্ষেপ, এত মানুষ এখানে স্নান করতে আসেন। কিন্তু ঘাটগুলির সংস্কারের অভাবে বেশ খারাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy