প্রতীকী ছবি।
কোথাও আনাজ খেতের মধ্যে, কোথাও বাড়ির উঠোনে, ঝোপ-জঙ্গলের আড়ালে চলছে গাঁজা চাষ। বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ আসছে পুলিশের কাছে।
বেআইনি গাঁজা চাষের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার গোপালনগর থানার পুলিশ অম্বিকাপুর, গাজিপুর সহিসপুর-সহ কয়েকটি এলাকায় হানা দিয়ে প্রচুর গাঁজা গাছ কেটে নষ্ট করেছে।
পুলিশ জানায়, পটল খেতের মধ্যে গাঁজার চাষ হচ্ছিল বলে খবর আসে। মাচার উপরে পটল ফলেছে। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই, আড়ালে চলছে গাঁজার চাষ।
একটি গ্রামে গিয়ে পুলিশের নজরে আসে, বাড়ির উঠোনে গাঁজা চাষ হয়েছে। পাটকাঠির বেড়া দিয়ে সেই গাছ আড়াল করা হয়েছে। আমবাগানে ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে সেখানেও গাঁজা চাষ চলছে বলে দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। সেই সব গাছ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। গাঁজা গাছ কেটে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
দিন কয়েক আগে গোপালনগরে এক পঞ্চায়েত প্রধানের জমিতে গাঁজা চাষের অভিযোগ উঠেছিল। সেই গাছ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন গ্রামবাসীরা। গাছগুলি কেটে দেওয়া হয়। এর আগেও গোপালনগর থানা এলাকায় গাঁজা চাষের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। বছরখানেক আগে গোপনে চাষের জমিতে চলছিল গাঁজা চাষ। পুলিশ খবর পেয়ে সে সব কেটে নষ্ট করে। গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি, মেদেরমাঠ এলাকায় পুলিশ সে সময়ে কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা গাছ নষ্ট করে।
অম্বরপুরে একটি বাড়িতেও সে সময়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। বাড়ির ভিতর গোপনে চলছিল গাঁজা চাষ।
গোপালনগরের পাশাপাশি বাগদা ও গাইঘাটা থানা এলাকাতেও গোপনে গাঁজা চাষ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। কয়েক মাস আগে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার গাঁজা চাষ নষ্ট করেছিল বিএসএফ। বাগদার মুস্তাফাপুর সীমান্ত এলাকার মাঠপাড়ার ঘটনা। বিএসএফ জানায়, ওই এলাকার অনুর্বর জমিতে কিছু মানুষ গাঁজা চাষ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিঘের পর বিঘে জমিতে চাষের ঘটনা সামনে আসেনি। গোপনে অল্প কিছু জায়গায় এই গাছ লাগানো হয়।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, আগে বাইরে থেকে গাঁজা আসত। এখনও আসে। সেই সঙ্গে স্থানীয় খেতের গাঁজাও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিছু বাংলাদেশেও পাচার হয় বলে অভিযোগ।
বনগাঁর পুলিশ সুপার জয়িতা বসু এ বিষয়ে বলেন, ‘‘গোপালনগর থানার পুলিশ গাঁজা গাছ নষ্ট করেছে। অন্য থানা এলাকাতেও অভিযান চালানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy