প্রতীকী ছবি।
গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হল এক কিশোরীর। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সতেরোর মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সাংসারিক অশান্তির জেরে বছর তিনেক আগে তার মা বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন। সঙ্গে আসে দুই মেয়েও।
স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে বারাসত জেলা আদালতে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার আদালতে মামলার শেষ শুনানি ছিল। যদিও মেয়েটির বাবা আদালতে উপস্থিত হননি।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় কিশোরীর বাবা শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন। স্ত্রীকে গালিগালাজ করেন। পড়শিরা তাঁকে ধরে ফেলে মারধর করে মাঠে ফেলে দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
চোখের সামনে বাবাকে মারধর করতে দেখেছিল ওই কিশোরী। তারপরেই নিজের ঘরে ঢুকে যায়। পরে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, সাংসারিক অশান্তির জেরে আগেও বার দু’য়েক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মেয়েটি। পুলিশের অনুমান, এ দিন বাবাকে মারধর করতে দেখে ভেঙে পড়েছিল সে। তারপরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশ কিশোরীর বাবাকে মারধরের অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মেয়েটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy