Advertisement
০১ মে ২০২৪
Septic Tank

সম্পত্তির জন্য ছাদে নিয়ে গিয়ে মাথায় হাতুড়ি মেরে দিদিমাকে খুন, স্বীকার সোনারপুরের দম্পতির

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত এবং সুস্মিতার বাড়ির লোকজন তাঁদের বিয়ে মেনে নেননি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে দিদিমা গঙ্গারানি দাসের বাড়িতে থাকছিলেন।

image of septic tank

সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধা এবং তাঁর নাতির হাড়গোড়। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সোনারপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪৫
Share: Save:

সম্পত্তির জন্যই দিদিমা এবং মামাতো ভাইকে খুন করেছেন। পুলিশি জেরায় স্বীকার করলেন সোনারপুরের বাসিন্দা মৃতার নাতনি সুস্মিতা দাস এবং তাঁর স্বামী সুশান্ত দাস। ধৃতদের জেরার জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত এবং সুস্মিতার বাড়ির লোকজন তাঁদের বিয়ে মেনে নেননি। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে দিদিমা গঙ্গারানি দাসের বাড়িতে থাকছিলেন। বাড়িতে থাকা নিয়ে মাঝে মধ্যেই দিদিমার সঙ্গে ঝামেলা হত দম্পতির। উল্টে দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের সন্তানকে দেখভাল করতে চাইতেন না দিদিমা। ওই দম্পতির নামে একাধিক বার সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গঙ্গারানি। পুলিশ জানিয়েছে, সুস্মিতার স্বামী সুশান্ত নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কোনও কাজ করতেন না। দাদু পান্নালাল দাসের ব্যাঙ্কে রাখা টাকার সুদে তাঁদের সংসার চলত। সেই টাকার কারণেই দিদিমাকে খুন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

সোনারপুর থানার অন্তর্গত জগদ্দল এলাকায় বাড়ি গঙ্গারানির। তাঁর কাছেই থাকতেন বিশেষ ভাবে সক্ষম তাঁর এক নাতি। অভিযোগ, সুস্মিতার স্বামী সুশান্তের সঙ্গে দিদিমা এবং মামাতো ভাই ২৫ বছরের মানসরঞ্জন দাসকে খুন করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরে রেখেছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক ধরে ৭৫ বছরের গঙ্গারানিকে দেখা যায়নি। শনিবার মায়ের খোঁজ নিতে জগদ্দলে আসেন তাঁর মেয়ে। মা গঙ্গারানির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় মেয়ের। আবার এই গঙ্গারানির বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে থাকেন তাঁর মেয়ে সুস্মিতা। শনিবারও সুস্মিতা এবং তাঁর স্বামী সুশান্ত তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গঙ্গারানির এক বোনও। তখন সুস্মিতার মা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের নতুন ঢালাই দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়েই ঢালাই ভাঙা হয়।

পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর দু’দিন পর দিদিমাকে খুন করা হয়েছে। একই দিনে ভাই মানসরঞ্জন ওরফে বিট্টু দাসকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরের দিন দুপুরবেলা দু’জন মিলে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। তার পর নতুন করে সিল করা হয় সেপটিক ট্যাঙ্ক। পরিবারের বা বাইরের কেউ তাঁদের খোঁজ করতে এলে বিষয়টি চাপা দিতে বিভিন্ন জনকে তাঁরা বিভিন্ন কথা বলতন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Septic Tank Death Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE