রাত দু’টো। ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি রক্ত মাখা দা হাতে নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে থানায় ঢুকলেন। বললেন, ‘‘বেপথে যাওয়া স্ত্রীকে খুন করে এলাম স্যার।’’ শুনে অবাক পুলিশ!
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের মাখালগাছা এলাকায়। পুলিশ জনিয়েছে, নিহতের নাম অঞ্জনা মণ্ডল (৩৮)। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশ আগে দেগঙ্গার উত্তর কালীয়ানি গ্রামের অঞ্জনাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় হাসনাবাধের তেঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দার নিকুঞ্জের। সে ডাব বিক্রি করত। তাঁদের তিন মেয়ে। প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নিকুঞ্জের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে একুশ বছর এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। নিকুঞ্জু বলে, ‘‘অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম স্ত্রীকে। কিন্তু সে আমার কোনও কথাই শোনেনি। উল্টে আমাকে মারধর করত।’’
শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে ফের বচসা বাধে। হাতাহাতিও হয়।
পুলিশের কাছে নিকুঞ্জ দাবি করেছে, এর পরেই রাত ১টা নাগাদ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে বাধা দেয় সে। কিন্তু অঞ্জনাদেবী কোনও কথাই শুনতে চাননি। এরপরেই দু’জনের মধ্যে ফের অশান্তি বাধে। তখনই দা দিয়ে অঞ্জনাদেবীর গলায় ও হাতে কোপ মারে নিকুঞ্জ। সে পুলিশকে জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। কিন্তু তাঁকে মারতে চাইনি সে। নিকুঞ্জর মেয়েরা বলেন, ‘‘মা-বাবার মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। যা হয়েছে রাগের মাথায় হয়েছে। বাবা ইচ্ছা করে কিছু করেননি।’’ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।