পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। সোমবার তিন আসামি, সঞ্জীব ওরফে বাপি পণ্ডিত, অমিত পণ্ডিত এবং জিয়ারুল মণ্ডলকে দোষী বলে ঘোষণা করে ব্যারাকপুর আদালত।
২০২২ সালের ১৩ মার্চ বাড়ির অদূরে আগরপাড়া স্টেশন রোডে স্কুটারে ওঠার সময়ে একটি গুলি লেগেছিল অনুপমের গায়ে। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করেছিল এক দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলরের। সেই রাতেই অমিত নামে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার হন বাপি এবং জিয়ারুল। বাপি পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। সোমবার তিনি আদালতে হাজির হয়েছিলেন। বিচারকের নির্দেশের পর আদালত থেকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
অনুপম খুনের তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, খুনের সুপারি দিয়েছিলেন বাপি। এ-ও জানা যায়, অনুপমকে খুন করতে অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি কাজটি না করায় পুরভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বাপি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। তা নিয়ে শোরগোল হয় এলাকায়। মামলা সাজানোয় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ বাপি-সহ তিন জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তিন জনের শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:
আদালত থেকে বাপিকে বার করার সময় তিনি বলেন, ‘‘আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এর সঙ্গে নেতারা জড়িয়ে আছেন।’’ অন্য দিকে, স্বামীর খুনের বিচার শুনতে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন নিরুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘এই বিচারে আমি খুশি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে, এটাই আশা। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’