বিয়েবাড়িতে অতিথিরা হাজির। তৈরি কনে। কিন্তু বরের দেখা নেই!
তার পর বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেন কনে এবং কনেপক্ষের লোকজন। বরের খবর মেলেনি। শেষমেশ পাত্রের খোঁজে তাঁর বাড়ি গেলেন পাত্রী। এ বার বিস্ময়ের পালা। পাত্রী বুঝলেন, তিনি ঠকেছেন। সর্বনাশ হয়েছে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার পর থেকে হুগলির উত্তরপাড়ার যুবকের খোঁজে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা শ্বেতা ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁর সঙ্গে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার প্রায় ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা-মা কেউ নেই। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। অবশেষে তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের আয়োজন হয়েছিল শ্বেতার বাড়িতে। কিন্তু পাত্র আর যাননি। ছাঁদনাতলায় বসে বসে নানা দুশ্চিন্তা গ্রাস করছিন কনেকে। রবিবার সকাল হতেই পাত্রের খোঁজ নিতে তাঁর বাড়িতে হাজির হন তিনি।
দরজার কড়া নাড়েন। কিন্তু প্রেমিককে পাননি। এর পর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, প্রেমিক বিবাহিত। তাঁর সন্তানও আছে। শেষমেশ প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় যান শ্বেতা। তাঁর দাবি, বিভিন্ন সময় অসুবিধার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে টাকা এবং গয়না নিয়েছেন প্রেমিক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ঠকিয়েছেন। ওই যুবতীর কথায়, ‘‘দুপুর দেড়টা থেকে ওর ফোন বন্ধ পাই। ২টোর মধ্যে ঢোকার কথা ছিল। কোনও ভাবে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। ওর বাড়ি এসে শুনলাম, ও বিবাহিত। তা ছাড়া আগেও একটি বিয়ে করেছিল। সেই মহিলা মারা গিয়েছেন। আমাকে ঠকিয়েছে ও।’’
আরও পড়ুন:
জেঠুকে নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানিয়ে শ্বেতা আরও বলেন, ‘‘ভালবেসে যা জিনিসপত্র দিয়েছিলাম, দিয়েছি। কিন্তু অসুবিধার কথা বলে টাকা-গয়না নিয়েছে। ওগুলো ফেরত দিক, এটাই চাই।’’ কান্নায় গলা বুজে আসে তাঁর। যুবতীর জেঠু শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একটি বেসরকারি সংস্থার অপারেশান ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিল ছেলেটি। ওর কাকা-কাকিমাও বলছেন ও প্রতারক। আমাদের মেয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে। আর কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না হয়, সে জন্য থানায় অভিযোগ করলাম।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।