সর্বশিক্ষা দফতরের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে বসিরহাটের নিমদাঁড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সহ শিক্ষকদের স্কুলের ভিতর তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রী-অভিভাবকেরা। শুক্রবার দুপুর থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে থাকেন শিক্ষকেরা।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৯৪ জন। তাদের বসার জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫টি বেঞ্চ। মাটিতে সতরঞ্চি পেতে অনেককে বসানো হয়। শিক্ষক আছেন ৪ জন।
শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান আসছে। অথচ পড়ুয়াদের বসার বেঞ্চ পর্যন্ত জুটছে না। বছরখানেক ধরে ঘর তৈরির কাজ আটকে রয়েছে। কিছু দিন আগেও একবার ওই স্কুলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধান শিক্ষককে। এ দিন পুলিশ এবং সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক গিয়ে দ্রুত স্কুলবাড়ি তৈরি এবং পড়ুয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় বসার জায়গা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
এ দিন বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, বিদ্যালয় পরিদর্শক শৈলেশ পালকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষকের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। পড়ুয়াদের বসার জায়গা করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এসার আলি মোল্লা, হাসানুর জামান বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকের অকর্মণ্যতার জন্যই এই বর্ষাতেও ছাত্রছাত্রীদের মাটিতে ছেঁড়া মাদুর কিংবা শতরঞ্চিতে পেতে বসতে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’’
তাঁর বিরুদ্ধ ওঠা অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক হাফিজুর মণ্ডল।