অ্যাম্বুল্যান্সে ফিরছেন ভারতীয় ওই যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ের কাজে। কাজ মিটিয়ে ভাইকে নিয়ে উঠেছিলেন যশোরের এক হোটেলে। সেই হোটেলেই আগুন ধরিয়ে দিলেন কয়েক জন। প্রাণ বাঁচাতে চার তলা থেকে ঝাঁপ দেন ওই ভারতীয় যুবকেরা। গুরুতর চোট নিয়ে ভারতে ফিরলেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরলাম। শুনেছি দু’জন মারা গিয়েছেন।’’ যদিও মৃতের কোনও তথ্য এখনও সরকারি ভাবে পাওয়া যায়নি।
দিন কয়েক আগে অসমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। আমদানি-রফতানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। এ বার রবিউলের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শহিদ আলি। শহিদ জানান, দু’জনে যশোরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। ছিলেন ১২ তলার একটি ঘরে।
সোমবার দুপুরের পরে বাইরে কিছু শব্দ শুনে হোটেলের ঘরের জানলা খোলেন রবিউল এবং শহিদ। তাঁরা দেখেন আন্দোলনকারীদের একাংশ ওই হোটেলটি ঘিরে ফিলেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে হোটেলের মধ্যে থেকে হট্টগোল শুনতে পান। খবর পান, হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিউল তাঁর ভাইকে নিয়ে তড়িঘড়ি ব্যাগপত্র গুছিয়ে সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামছিলেন। রবিউল বলেন, ‘‘কিছুটা নামতেই বুঝতে পারি, হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চার দিক থেকে ধোঁয়া উঠছে।’’ তিনি জানান, কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে চার তলা থেকে পাশের একটি ভবনে চলে যান দু’জন। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন দুই ভাই। তাতে শহিদের দুই পা ভেঙেছে। গুরুতর আঘাত লেগেছে পিঠেও। দাদা রবিউলও চোট পেয়েছেন। দুই ভাইয়ের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy