Advertisement
E-Paper

গঙ্গার ভাঙন রুখতে কাজ শুরু করল সেচ দফতর

গঙ্গার পাড় ভাঙা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। নবনির্মিত নাথুপাল শ্মশানঘাটের দু’ দিকে হচ্ছে এই কাজ। এর ফলে বাণের প্রকোপ ও গঙ্গার ভাঙন থেকে রক্ষা করা যাবে ওই এলাকাকে। এমনটাই বলছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। এই কাজে আশাবাদী খড়দহের গঙ্গা তীরের বাসিন্দারাও।

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০১:৪৯
কাজ চলছে খড়দহ গঙ্গাপাড়ে।—নিজস্ব চিত্র।

কাজ চলছে খড়দহ গঙ্গাপাড়ে।—নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার পাড় ভাঙা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। নবনির্মিত নাথুপাল শ্মশানঘাটের দু’ দিকে হচ্ছে এই কাজ। এর ফলে বাণের প্রকোপ ও গঙ্গার ভাঙন থেকে রক্ষা করা যাবে ওই এলাকাকে। এমনটাই বলছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। এই কাজে আশাবাদী খড়দহের গঙ্গা তীরের বাসিন্দারাও।

তৈরির পরে তিন বছরের মধ্যে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে রাসখোলা ঘাটের ভাসানসেতুর অনেকটাই। সংলগ্ন স্নানঘাটের সিঁড়ির বাঁধানো শানও নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ঘাটের সামনে ঝোলানো পুর-বিজ্ঞপ্তির তোয়াক্কা না করেই যাতায়াত চলছিল। স্থানীয়দের মতে, ভাঙন ও বাণের তাণ্ডবে নবনির্মিত নাথুপাল শ্মশানের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও ছিল। এর অন্যতম কারণ গঙ্গার গতি পরিবর্তন। এমন কথাই বলছেন কেএমডব্লিউএস-এর ইঞ্জিনিয়ররা।

ছ’বছর আগে কেএমডব্লিউএসএ খড়দহের রাসখোলা ভাসানঘাটটি তৈরি করে। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, ভাসানঘাট তৈরির সময়ে খড়দহের দিকে গঙ্গায় বহু দূর পর্যন্ত চর পড়েছিল। বছর খানেকের মধ্যে ষাঁড়াষাঁড়ি বাণের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে ঘাট সংলগ্ন সেতুর অংশ। গঙ্গা ক্রমশ দিক বদল করে খড়দহের দিকে পাড় ভাঙতে থাকে। এর জন্যই তলিয়ে গিয়েছে ভাসানঘাট। অন্য দিকে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে সম্প্রতি রাজ্য মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স দফতর ও খড়দহ পুরসভা ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা খরচ করে নাথুপাল শ্মশানঘাটের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ করেছে। বিপদসীমায় থাকার জন্য শ্মশানের কাজে বাড়তি সতর্কতাও নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সংস্কার অনিবার্য ছিল।

রাজ্যের সেচ দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে নাথুপাল ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত অংশের কাজ হবে। নবনির্মিত নাথুপাল শ্মশানঘাটের দু’ দিকে ২৫০ মিটার এবং ৪৫০ মিটার করে হচ্ছে এই কাজ। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি কাজ হবে। জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ে গিয়েছে পাড় বরাবর পুরনো ঢালটি। ঢালের নীচের অংশ সম্পূর্ণ ক্ষয়ে গিয়েছে। নতুন করে ইঁটের ব্লক বানিয়ে সাত মিটারের ঢাল করা হবে। ঢাল যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানে দেড় মিটার চওড়া অংশে প্রথমে খোয়া বিছিয়ে ইঁটের ব্লক বসানো হবে। সেখান থেকে ইঁটের ব্লক বানিয়ে আরও আড়াই মিটার গভীর, সাত মিটারের ঢাল তৈরি হবে। এর নীচে বসানো হবে তারের জালি।

সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, গঙ্গার ভাঙন রোধে খড়দহের দিকে এটা প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। দু’মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। সম্প্রতি খড়দহ এলাকার নিকাশি মূল ভরসা খড়দহ খালের পলি নিষ্কাশনের কাজ শেষ করেছে রাজ্য সেচ দফতর।

southbengal Khardah ganges babughat nathupal ghat trinamool tmc Jayati Raha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy