Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Joynagar Murder

জয়নগরকাণ্ডে জড়িত আরও আট! ধৃত আনিসুর এবং কামালউদ্দিনকে জেরায় এডিজি এবং ডিআইজি স্বয়ং

পুলিশের দাবি, তৃণমূল নেতাকে গুলি করার দায়িত্ব ছিল ধৃত শাহরুল শেখ এবং গণপ্রহারে মৃত শাহাবুদ্দিনের উপর। তবে খুনের গোটা পরিকল্পনা করেন ওই আনিসুর।

death

মৃত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৬
Share: Save:

জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার হয়েছেন। খুনের ঘটনায় আরও সাত থেকে আট জন যুক্ত রয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে জেরা করতে বারুইপুর থানায় আসেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত এবং ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) আকাশ মাঘারিয়া। ছিলেন পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালিও। এ ছাড়া তদন্তকারী দলের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসও সেই সময় থানায় ছিলেন। আনিসুর রহমান লস্কর এবং কামালউদ্দিন ঢালিকে দীর্ঘ জেরার পর তাঁরা থানা থেকে বেরোন। পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র জানান, ধৃতদের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে তদন্তে অনেক অগ্রগতি হবে। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ঘটনায় আরও সাত- আট জন জড়িত থাকতে পারে।’’ তবে খুনের কারণ রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত, এ নিয়ে এখনই তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জানান, তদন্ত চলছে। এ নিয়ে এখনই আর বেশি কিছু বলা যাবে না।

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় শুক্রবারই আনিসুর এবং কামালউদ্দিনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায়। কিন্তু বিচারক ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। খুনের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুই অভিযুক্তই। তাঁরা দু’জনেই ধরা পড়েন বৃহস্পতিবার। পুলিশের দাবি, তৃণমূল নেতাকে গুলি করার দায়িত্ব ছিল ধৃত শাহরুল শেখ এবং গণপ্রহারে মৃত শাহাবুদ্দিনের উপর। তবে খুনের গোটা পরিকল্পনা করেন ওই আনিসুর। তাঁকে এবং শাহরুলকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, সইফুদ্দিন খুনে তাঁর বাড়ির লোকও জড়িত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে বাড়ির কাছেই মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন সইফুদ্দিন। পালানোর পথে জনতার হাতে ধরা পড়ে যান দু’জন। শাহাবুদ্দিন নামে এক জনের মৃত্যু হয় গণপ্রহারে। শাহারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূল নেতার খুনের অব্যবহিত পর নিকটবর্তী দলুয়াখাকি গ্রামে আনিসুর-সহ সিপিএমের কিছু কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরানো হয়। সইফুদ্দিনের পরিবারের তরফে আনিসুরের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার জানান, আনিসুর এবং কামালউদ্দিন খুনে জড়িত ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Joynagar Murder TMC Leader Murder Case joynagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE