Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘জোর করে’ বিয়ে, বদলা নিল জামাই

মেয়ের বাড়ি থেকে জোরাজুরি করা হচ্ছিল। বিয়েতে আপত্তি ছিল না ছেলের। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে মেয়ের বাড়ি গিয়ে মেলামেশার পরে বিয়েটা আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি ওই যুবক। কিন্তু বিয়ের পরে স্ত্রীকে খুনের ছক কষে।

ধরা পড়ল অভিযুক্ত নুর মহম্মদ।

ধরা পড়ল অভিযুক্ত নুর মহম্মদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪২
Share: Save:

মেয়ের বাড়ি থেকে জোরাজুরি করা হচ্ছিল। বিয়েতে আপত্তি ছিল না ছেলের। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে মেয়ের বাড়ি গিয়ে মেলামেশার পরে বিয়েটা আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি ওই যুবক। কিন্তু বিয়ের পরে স্ত্রীকে খুনের ছক কষে।

নদীর ধার থেকে উদ্ধার হওয়া ক্ষতবিক্ষত বধূর দেহ উদ্ধারের পরে তদন্তে নেমে এই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণীর স্বামীকে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ওই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাঞ্চন জলপাইপাড়া থেকে শেখ নুর মহম্মদ নামে ওই যুবককে ধরা হয়েছে। তাকে আজ, শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মাস ছ’য়েক আগে নুরের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের পাতড়া গ্রামের বছর বাইশের তরুণী সাহানারা খাতুনের। আলাপ গড়ায় প্রেমে। মেয়েটির বাড়িতেও যাতায়াত শুরু করে নুর। তরুণীর পরিবারের চাপে এক সময়ে বিয়েও করে।

১০ মার্চ বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে বলে বেরোয় নুর। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ জামাই ফোনে জানায়, ডায়মন্ড হারবার থেকে কুঁড়াহাটি যাওয়ার শেষ লঞ্চ চলে যাওয়ায় তাঁরা পাতড়া গ্রামে ফিরবেন। সেটাই ছিল মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে পরিবারের শেষ কথা।

পর দিন, ১১ মার্চ ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীর পাশ থেকে মুখ থেঁতলানো অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। এ দিকে, মেয়ে-জামাইয়ের ফোন বন্ধ দেখে চিন্তায় পড়েন সাহানারার বাবা নুর মহম্মদ মোল্লা।

আত্মীয় পরিজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে এক আত্মীয় জানান, দেহ উদ্ধারের ঘটনা। মর্গে গিয়ে বাবা দেখেন, মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার আগে জামাই কোথায় থাকে, তা-ই জানত না মেয়ের বাড়ির লোক। খুঁজে পেতে ঠিকানা জোগাড় হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে, জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। সেই রাগেই খুনের ছক কষে সে।

সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নদীর ধারে ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য ইট দিয়ে মুখ থেঁতলে দিয় সে।

এক তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, স্ত্রীকে খুন করেও যুবক নির্বিকার। তার নাকি বিয়ে করার ইচ্ছেই ছিল না। কিছু দিন প্রেম করে সরে পড়তে চেয়েছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Man Arrest murder Wife
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy