•ধৃত: সৌকত আলি। নিজস্ব চিত্র
তাবিজ পরলে পরীক্ষায় ফল ভাল হবে— হাতের রেখা গণনা করে এ কথা বলে এক নাবালিকাকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল গুণিনের বিরুদ্ধে। হাসনাবাদ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৌকত আলি নামে ওই গুণিন এবং মতলুবার বিশ্বাস নামে আরও একজনকে। সৌকতের বাড়ি দত্তপুকুরে। ছোট জাগুলিয়া থেকে ধরা হয় মতলুবারকে। বাদু এলাকার একটি বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাসনাবাদের ভেবিয়ার রাস্তায় গুণিন হিসাবে পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল সৌকতকে। তারই সঙ্গী মতলুবার লোকজন জোগাড় করে এনে পসার বাড়াতে থাকে গুণিনের। বছর চোদ্দোর নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীও আসে সৌকতের কাছে।
সৌকত মেয়েটির হাতের রেখা দেখে বলে, ‘‘এমন হাত বড় একটা দেখা মেলে না। মেয়ে রাজরানি হবে। আমার কথা শুনে চললে পড়াশোনায় ভাল ফল করবে।’’ গুণিনের কথায় মেয়েটি ও তার বাড়ির লোকেরও ভরসা হয়।
পুলিশ জানায়, বছর পঞ্চান্নর সৌকতের কাছে প্রায়ই যেতে শুরু করে মেয়েটি। ৯ মার্চ হঠাৎ গুণিন হাসনাবাদের দক্ষিণ ভেবিয়া থেকে উধাও হয়ে যায়। বেপাত্তা হয়ে যায় মেয়েটিও।
আরও পড়ুন: লটারি কেটে ৫১ লক্ষ টাকা জিতল কৃষ্ণ!
পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া থেকে মতলুবাকে আটক করে। তাকে জেরা করে সোমবার রাতে দত্তপুকুর এলাকা থেকে সৌকতকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারক দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পরে উদ্ধার হয় মেয়েটি।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, হাত দেখা আসলে বুজরুকি সৌকতের। আসল কাজ হল মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে নিজের ডেরায় নিয়ে তোলা। এরপরে সুযোগ বুঝে তাদের উপরে অত্যাচার চালিয়ে অন্যত্র বিক্রি করা।
নাবালিকার দাবি, পরীক্ষায় ভাল ফল হবে, এই আশ্বাস দিয়ে একদিন তাকে তাবিজ পরায় সৌকত। তারপরে কিছু একটা খেতে দেয়। আর কিছুই মনে নেই মেয়েটির। পুলিশের অনুমান, সৌকত নারী পাচারচক্রে জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy