Advertisement
E-Paper

আট বছরের ছেলেকে ছুড়ে ফেলা হল জলে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দেগঙ্গার সেকেন্দারনগর গ্রামের দাসপাড়ায় পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল আকাশ। রাস্তার পাশে পড়েছিল পাটকাঠি। হাতে নিয়ে ছুটোছুটিতে মাতে ছেলের দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৩০
উদ্ধারের-পরে: চিকিৎসার জন্য বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আকাশকে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

উদ্ধারের-পরে: চিকিৎসার জন্য বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আকাশকে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

রাস্তার ধারে ফেলে রাখা ছিল পাটকাঠি। তা নিয়ে খেলছিল বছর আটেকের ছেলেটি। সেই ‘অপরাধে’ পাটকাঠির মালিক ছেলেটিকে তুলে ফেলে দেয় পাশে খালের জলে। হাবুডুবু খেতে থাকে ছেলেটি। চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করেন পাশের একটি স্কুলে মিড ডে মিল রাঁধতে আসা মহিলারা।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ২ পঞ্চায়েতের দাসপাড়ায়। আকাশ দাস নামে ওই বালককে বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে অভিযুক্তেরা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দেগঙ্গার সেকেন্দারনগর গ্রামের দাসপাড়ায় পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল আকাশ। রাস্তার পাশে পড়েছিল পাটকাঠি। হাতে নিয়ে ছুটোছুটিতে মাতে ছেলের দল।

পাটকাঠি শুকোতে দিয়েছিল মোয়াজ্জেম তেলি। সে ছেলেদের দিকে ছুটে যায়। বাকিরা পালালেও ধরা পড়ে যায় আকাশ। চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেলেটিকে রাস্তার পাশে বয়ে যাওয়া খালের জলে ফেলে দেয় মোয়াজ্জেম। ছেলেটি বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলেও পাড়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখছিল মোয়াজ্জেম। অভিযোগ, জল থেকে উঠতে বাধাও দেয় আকাশকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেন, খালপাড়ে সেকেন্দারনগর কেডিএফপি স্কুলে তখন মিড ডে মিল রান্না করছিলেন কয়েকজন মহিলা। চিৎকার শুনে তাঁরা বাইরে এসে ছোট ছেলেটিকে হাবুডুবু খেতে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন জলে। আকাশকে উদ্ধার করে পেটের ভিতরের জল বার করার চেষ্টাও করেন তাঁরা। এলাকার মানুষই আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ দিন স্কুলে পরীক্ষা ছিল আকাশের। সেই পরীক্ষায় বসতে পারেনি। আকাশের মা মিনা দাস বলেন, ‘‘সামান্য পাটকাঠি নিয়েছে বলে একটা বাচ্চা ছেলেকে কেউ এমন শাস্তি দেয়? স্কুলের মহিলারা যদি উদ্ধার না করত, তা হলে তো আমার ছেলেটাকে বাঁচানোই যেত না।’’ অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন মা।

Torture Children দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy