Advertisement
E-Paper

শবযাত্রীদের গাড়ির শব্দে পালাল দুষ্কৃতী

মহিলাদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লুঠপাট চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়িরই পুরুষ সদস্যেরা গিয়েছিলেন শবযাত্রায়। তাঁরা রাতেই ফেরেন। তাঁদের গাড়ির শব্দে লুঠপাট মাঝপথে সেরে পিঠটান দেয় দুষ্কৃতীরা। সন্দেভভাজন একজনকে এলাকা ঘোরাঘুরি করতে দেখে পরে পাড়ার লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ০১:০১
লুঠপাটের পরে অগোছালো ঘরদোর। নিজস্ব চিত্র।

লুঠপাটের পরে অগোছালো ঘরদোর। নিজস্ব চিত্র।

মহিলাদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে লুঠপাট চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়িরই পুরুষ সদস্যেরা গিয়েছিলেন শবযাত্রায়। তাঁরা রাতেই ফেরেন। তাঁদের গাড়ির শব্দে লুঠপাট মাঝপথে সেরে পিঠটান দেয় দুষ্কৃতীরা। সন্দেভভাজন একজনকে এলাকা ঘোরাঘুরি করতে দেখে পরে পাড়ার লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

সোমবার গভীর রাতে হাড়োয়া থানার গোপালপুরের চক্রবর্তী পাড়ায় এই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা, অলঙ্কার-সহ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে।

গত কয়েক দিন ধরেই হাড়োয়া থানার গোপালপুর এলাকার হরপাড়া, মিত্রপাড়া, পশ্চিমপাড়া, চক্রবর্তীপাড়ায় একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলেও দুষ্কৃতীরা অধরা। সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকারই চক্রবর্তী পাড়ার বাসিন্দা নিতাই চক্রবর্তী মারা যান। কাকার দেহ কলকাতার নিমতলায় সৎকারের জন্য রাত ৮টা নাগাদ পিন্টুলাল চক্রবর্তী আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বের হন। সে সময়ে মিন্টুবাবুর এক দাদা, বৌদি, স্ত্রী, মা এবং বাচ্চারা বাড়িতে ছিল।

রাত ২টো নাগাদ বাড়ির একতলার একটি ঘরে শুতে যান মিন্টুবাবুর স্ত্রী এবং মা। রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ির সামনে থাকা লোহার গেটের তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢোকে। নীচের তলায় মিন্টুবাবুর স্ত্রী ও মা যে ঘরে শুয়েছিলেন, তার বাইরে থেকে হ্যাসবোল্ট লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপর মিন্টুবাবুর ঘরে ঢুকে শুরু হয় আলমারি এবং শো-কেস ভেঙে লুঠপাট। ইতিমধ্যে ফিরে আসেন শবযাত্রীরা। গাড়ির শব্দ এবং লোকজনের আওয়াজ শুনে একটি ঘরে লুঠপাট চালিয়েই পালাতে বাধ্য হয় দুষ্কৃতীরা।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে মিন্টুবাবু বলেন, ‘‘রাত ৩টে নাগাদ আমরা বাড়ি ফিরে দেখি, সদর দরজা হাট করে খোলা। তখনই সন্দেহ হয়। দরজার হ্যাসবোল্ট খুলে মা ও স্ত্রীকে উদ্ধার করি।’’ তিনি জানান, বাইরে এসে ক্লাবের সামনে একজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় গ্রামের মানুষ তাকে ধরে। অত রাতে সে ওখানে কী করছে জানতে চাওয়ায় অসংলগ্ন উত্তর মেলে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস নামক ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত লুঠ হওয়া জিনিস উদ্ধার হয়নি। তদন্ত চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোমদত্ত হালদার জানান, গত এক সপ্তাহের মধ্যে মিন্টু সাহা, কার্তিক বিশ্বাস, ঝন্টু হালদার, চণ্ডী সাহা এবং হর চৌধুরীদের বাড়িতে লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।

funeral miscreants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy