মণ্ডপের সামনে পড়ে রয়েছে চেয়ার, মিউজিক বক্স। ছবি: শান্তনু হালদার।
রাত তখন আড়াইটে।
কালীপুজোর অঞ্জলি চলছিল অশোকনগরের স্বামীজি সঙ্ঘের মণ্ডপে। তখনই শুরু তাণ্ডব। তবে, কোনও শব্দদৈত্যের নয়। একদল দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় সেখানে ঢুকে চেয়ার, ঢাক, ধুনুচি ভেঙে দেয়। মারধর করে মহিলাদের। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হন ছয় মহিলা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতিতেই পুজো শেষ হয়।
শনিবার মহিলাদের পরিচালিত ওই পুজোয় এলাকার দুষ্কৃতী বলাই মালাকার ওরফে হাতকাটা বলাইয়ের নেতৃত্বে ওই হামলা হয় বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বলাই-সহ অভিযুক্তেরা পালতক। তাদের খোঁজ চলছে। দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ বর্ণালি বসুর অভিযোগ, ‘‘বলাই ওর বাড়িতে চাঁদার জুলুমের মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুজো বানচাল করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালায়। ওকে বারবার চলে যেতে বলা হলেও শোনেনি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণগড় এলাকায় স্বামীজি সঙ্ঘের পুজোটি বেশ পুরনো। পুরুষেরা সময় দিতে না পারায় এ বার এলাকার মহিলারা পুজোর আয়োজন করেন। শনিবার রাতে বলাই সেখানে গেলে মহিলারা তাকে বসতে বলেন। কিন্তু বলাই তার বাড়িতে চাঁদা নিয়ে জোরজুলুম করা হয়েছে এবং তার স্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। মহিলারা সেই অভিযোগ মানতে চাননি। বলাই তার পরে চলে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মণ্ডপে ফিরে আসে। তার পরে শুরু হয় তাণ্ডব।
আয়োজকেরা জানান, বলাই ফিরে এসেও স্ত্রীর অপমানের মিথ্যা অভিযোগ তুলে চেঁচামেচি শুরু করে। তাকে চলে যেতে বলায় এলাকার এক যুবককে সে চড় মারে। মহিলারা প্রতিবাদ করেন। তখনই বলাই ১০-১২ জন যুবককে ফোনে ডেকে এনে মারধর শুরু করে। অভিযোগ, রূপা দাস নামে এক মহিলার হাতের শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর ডান হাত ফুলে গিয়েছে। শম্পা বাহাদুর নামে আর এক মহিলাকে চেয়ার দিয়ে পিঠে ও হাতে মারা হয়। তাঁর স্বামীকেও পেটানো হয়েছে। আর এক মহিলাকে চুলের মুঠি ধরেও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy