Advertisement
E-Paper

মাকে ইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল ছেলে!

অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ মাকে ইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল ছেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩০
গ্রেফতারের পরে শঙ্কর। ইনসেটে, কুটি। —নিজস্ব চিত্র।

গ্রেফতারের পরে শঙ্কর। ইনসেটে, কুটি। —নিজস্ব চিত্র।

অসুস্থ নাতিকে পান্তা ভাত খাওয়াচ্ছিল ছেলে। দুর্বল শরীরে ঠান্ডা পান্তা খেলে শরীর খারাপ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় বারণ করেছিলেন ওই যুবকের মা। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ মাকে ইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল ছেলে।

সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার কুড়ির মাঠ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, কুটি সরকার নামে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলে শঙ্করকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বনগাঁ থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘মর্মান্তিক ঘটনা। ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরে কুড়ির মাঠ এলাকার বাসিন্দা কুটি ছেলে ও পাঁচ বছরের নাতি রোহনকে নিয়ে থাকেন। কুটির স্বামী মারা গিয়েছেন। বৌমা সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

কুটি ভুট্টা বিক্রি করে সংসার চালান। জানালেন, নাতির পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা হয়েছিল। সেই অবস্থায় ছেলে ওইটুকু শিশুকে পান্তা খাওয়াতে বসে। তাতে পেট আরও খারাপ করতে পারে, এটুকুই বলেছিলেন তিনি।

অভিযোগ, মায়ের কথা শুনে শঙ্কর রেগে ওঠে। মায়ের গলা টিপে ধরে। গালে চড় মারে। মা চিৎকার জুড়লে থান ইট তুলে শঙ্কর তাঁর মাথায় বার কয়েক ঠুকে দেয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। ওই অবস্থায় কুটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে যান। মাথার দু’দিকে দু’টি সেলাই পড়ে। পরে থানায় অভিযোগ করেন কুটি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর তেমন কোনও কাজকর্ম করে না। প্রায়ই নেশাভাঙ করে। কুটি বলেন, ‘‘ছেলে মাঝে মধ্যেই অত্যাচার করে। কিন্তু এ দিন আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার বলেন, ‘‘পেট খারাপ ও পাতলা পায়খানা হলে কাউকে পান্তাভাত খাওয়ানো উচিত নয়। এতে পেটের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।’’ পান্তা খাওয়াতে বারণ করে কুটি ঠিক কাজই করেছিলেন বলে তাঁর মত। সেই সঙ্গে মায়ের সঙ্গে ছেলের আচরণ ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য

করেন তিনি।

Bangaon Mother বনগাঁ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy