Advertisement
E-Paper

ইটের ঘায়ে মৃত্যু শিশুর, জখম মা

অন্ধকারে রেললাইনের ধার দিয়ে হাঁটছিলেন মহিলা। কোলে আট মাসের মেয়ে। হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে উড়ে এল ইট। মাথায় লেগে বেসামাল হয়ে পড়ে গেলেন মহিলা। কোল থেকে ছিটকে মেয়ে প়ড়ল লাইনের উপরে। পাথরে মাথা ঠুকে যায় শিশুটির। পরে মারা যায় সে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৮ ০১:৪১
অসুস্থ: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা। নিজস্ব চিত্র

অসুস্থ: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা। নিজস্ব চিত্র

অন্ধকারে রেললাইনের ধার দিয়ে হাঁটছিলেন মহিলা। কোলে আট মাসের মেয়ে। হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে উড়ে এল ইট। মাথায় লেগে বেসামাল হয়ে পড়ে গেলেন মহিলা। কোল থেকে ছিটকে মেয়ে পড়ল লাইনের উপরে। পাথরে মাথা ঠুকে যায় শিশুটির। পরে মারা যায় সে।

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদি স্টেশনের কাছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম মৌমিতা নস্কর। জখম অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। পরে পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। রাতে সেখানেই মারা যায় ছোট্ট মেয়েটি। তার মা মমতার চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালেই।

রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পাইনি। কে বা কারা ইট ছুড়ল, কেন ছুড়ল— বোঝা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

তালদির সাতভাইয়া পাড়ায় থাকেন মমতা। বড় মেয়ে দীপিকার জ্বর এসেছিল। স্বামী কিঙ্কর এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ক্যানিং হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। রাত ৮টা নাগাদ আপ ক্যানিং লোকাল ধরে তালদি স্টেশনে নামেন তাঁরা। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল পরিবারটি। বড় মেয়েকে কোলে নিয়ে কিছুটা আগে হাঁটছিলেন কিঙ্কর। ছোট মেয়েকে নিয়ে পিছনে ছিলেন মমতা।

কিছুক্ষণ পরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে পিছনে হেঁটে আসেন কিঙ্কর। দেখেন, লাইনের উপরে স্ত্রী-মেয়ে পড়ে আছে। দু’জনেরই রক্তে ভেসে যাচ্ছে মুখ। কিঙ্করের চিৎকারে আশেপাশের লোক জড়ো হয়ে যায়। দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিঙ্কর জানিয়েছেন, স্ত্রী বেশি কথা বলতে পারছেন না। তবে জানিয়েছেন, লাইনের পাশ থেকে ইট ছুড়েছিল কেউ। গোটা ঘটনায় হতবাক ওই যুবক। বললেন, ‘‘কোলে বাচ্চা নিয়ে একজন মহিলাকে কেন কেউ ইট ছুড়বে, কে জানে।’’

Death Children Injured Mother
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy