Advertisement
E-Paper

লক-আপে কান্নাকাটি, অনুতপ্ত মা! কথা না শোনায় ৮ বছরের ছেলেকে নিজের হাতে খুন করেন তরুণী

বারুইপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তনুজা। বুধবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১২
খেয়াদহে সন্তানকে খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল মায়ের স্বীকারোক্তি।

খেয়াদহে সন্তানকে খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল মায়ের স্বীকারোক্তি। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

খেয়াদহে সন্তানকে খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল মায়ের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। জানা গেল, কথা না শোনায় রাগের মাথায় শ্বাসরোধ করে আট বছরের ছেলেকে খুন করেছেন মা! নরেন্দ্রপুর থানার সোনারপুরের খেয়াদহে শনিবার ঘটনাটি ঘটে। এর পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন তনুজা মণ্ডল নামে ওই মহিলা।

জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত মা পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার বারণ করা সত্ত্বেও তাঁর কথা না শুনে খেলতে চলে গিয়েছিল ছেলে দেবজিৎ মণ্ডল। যদিও কিছু ক্ষণ পরেই ফিরে আসে সে। ঘরে ফিরে মায়ের গলা জড়িয়ে আদরও করে। এর পর ছেলে খেতে চাইলে চাউমিন খেতে দেন মা। বিছানায় বসে খেতে খেতে টিভি দেখছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই খুদে। তখনই পিছন থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেন মা। ছেলে চিৎকার করলেও টিভির শব্দে চাপা পড়ে গিয়েছিল সেই আওয়াজ। ফলে কেউই শিশুটির চিৎকার শুনতে পায়নি। এর পর ছেলের দেহ বিছানাতেই কম্বল চাপা দিয়ে শুইয়ে রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় চলে যান মা।

ঘটনার পর থেকে অনুতপ্ত মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যেই থানার লক-আপে কান্নাকাটি করছেন তিনি। বারুইপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তনুজা। বুধবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

রবিবার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল তনুজাকে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের সামনেও খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। তনুজার স্বামী প্রসেনজিৎ মণ্ডল মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের দুই পুত্রসন্তান ছিল। বছর দু’য়েক আগে দেড় বছর বয়সি ছোট ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, তাকেও খুন করেছিলেন তনুজা। বড় ছেলে দেবজিৎ স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার সকালে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান প্রসেনজিৎ। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ছিল ওই শিশু। অভিযোগ, সে সময়েই ছেলেকে খুন করেন মা। খুনের পর ছেলের দেহ বাড়িতে রেখে থানায় চলে যান তিনি। প্রথমে সোনারপুর থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে নরেন্দ্রপুর থানায় পাঠানো হয়। সেখানেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

Sonarpur Mother son Narendrapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy