এখানেই ব্যবস্থা হবে রাতের বিশ্রামের। নিজস্ব চিত্র।
রোগীর আত্মীয়দের রাতে থাকার জন্য তৈরি হল আর্ত পরিজন নিবাস। শনিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে যার উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য।
প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচে ওই দ্বিতল নিবাসটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান শঙ্করবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক দূর থেকে এখানে রোগী আসেন। অনেক সময়ে রাতে থাকার প্রয়োজন হয়। এত দিন তাঁদের কার্যত রাস্তায় রাত কাটাতে হতো। যা নিরাপদ নয়। রোগীর আত্মীয়দের কথা চিন্তা করেই এটি তৈরি করা হল।’’
মহকুমার প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ ওই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। রাত বিরেতে দূর-দূরান্ত থেকে রোগী নিয়ে আসেন তাঁদের আত্মীয়রা। অনেকেই বাড়ি ফিরতে না পেরে হাসপাতালেই রাত কাটান। রাতে হাসপাতাল চত্বরে মাঝে মধ্যেই মদ্যপ ও নেশারুদের দৌরাত্ম্য দেখা যায় বলে অভিযোগ। এত দিন এর মধ্যেই কোনও মতে রাতটুকু কাটিয়ে দিতেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নবনির্মিত ভবনটিতে এক সঙ্গে প্রায় ৭০ জন থাকতে পারবেন। শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য প্রতি রাতে মাথা-পিছু দিতে হবে মাত্র ১০ টাকা। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘ওই নিবাসটি তৈরি হওয়ায় রোগীর আত্মীদের রাতে যেমন থাকার সুবিধা হল, তেমনই তাঁদের নিরাপত্তাও সুরক্ষিত হল।’’
রাতে থাকার জায়গা তৈরি হওয়ায় খুশি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরাও। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এত দিন রাতে হাসপাতালে রোগী নিয়ে এলে কার্যত জেগেই থাকতে হতো। মশা আর মদ্যপদের উপদ্রব সহ্য করতে হতো। এখন নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।’’
আর্ত পরিজন নিবাসের পাশাপাশি ওই একই ভবনে এ দিন উদ্বোধন হল একটি ক্যান্টিনের। এত দিন হাসপাতালে কোনও ক্যান্টিন ছিল না। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরসভার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ওই ক্যান্টিন চালাবেন। ২৪ ঘণ্টা খাওয়ার মিলবে।
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘রোগীর আত্মীয়েরা যাতে রাতে সুষ্ঠ ভাবে থাকতে-খেতে পারেন, সে জন্যই প্রকল্প দু’টি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy