Advertisement
E-Paper

ওপারের ডালি এল না পেট্রাপোলের মনসা পুজোয়

পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পের পিছনেই এই মনসা মন্দির। মন্দিরের পিছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে হাকোর নদী। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের সাদিপুর গ্রাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০০:৪৭
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাকোর নদী। এপারে পেট্রাপোল, ওপারে বাংলাদেশের সাদিপুর। নিজস্ব চিত্র

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাকোর নদী। এপারে পেট্রাপোল, ওপারে বাংলাদেশের সাদিপুর। নিজস্ব চিত্র

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়ল পেট্রাপোল সীমান্তের মনসা পুজোয়। শনিবার মনসা পুজোর দিনে এ বার ওপার বাংলার মানুষের কাছ থেকে কার্যত এল না পুজোর ডালি।

পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পের পিছনেই এই মনসা মন্দির। মন্দিরের পিছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে হাকোর নদী। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের সাদিপুর গ্রাম। মন্দিরের ডান দিকে বেনাপোল। মনসা পুজোর দিন সকাল থেকে পুজোর ডালি নিয়ে নদীর ওপারে সাদিপুরে ও বেনাপোলে জড়ো হন বহু মানুষ। দূর থেকেই তাঁরা পুজো দেখেন। পুজো উদ্যোক্তারা বিএসএফের অনুমতি নিয়ে সেই ডালি নিয়ে আসতেন। পুজো শেষে ডালি ফিরিয়ে দিতেন। সঙ্গে খিচুরিও দেওয়া হত। পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে দীপক ঘোষ বলেন, “২০১০ সাল পর্যন্ত মনসা পুজোর দিনে দুই বাংলার মানুষ এখানে উপস্থিত হতেন। পুজো দিতেন, প্রসাদ খেতেন। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার কারণে বিএসএফ ওপার বাংলার মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। তারপরেও ওপারের মানুষ পুজোর দিন কলা, দুধ, ফল, মিষ্টি পাঠাতেন। পুজো শেষ তাঁদের কাছে পুজোর ডালা পৌঁছে দেওয়া হত। এ বার সে সবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। "

শনিবার দুপুরে মনসা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, অন্যান্য বছরের থেকে বিএসএফের নজরদারি বেশি। হাকোর নদীর পাড়ে কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওপারে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) তরফেও সক্রিয়তা দেখা গেল। নদীর ওপারে বাংলাদেশিদের জড়ো হতেও দেখা যায়নি।

Petrapol Manasa puja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy