E-Paper

স্ল্যাব ‘ভেঙে দিয়ে’ ফের বিতর্কে পুরপ্রতিনিধি

অভিযোগ, স্ল্যাব ভাঙার খরচ দেওয়ারও দাবি করেছেন শ্রাবন্তী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৯
বিতর্কে পানিহাটির তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি।

বিতর্কে পানিহাটির তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি। —প্রতীকী চিত্র।

মাসকয়েক আগে প্রকাশ্যে এক তরুণীর চুলের মুঠি ধরে মারামারি করে তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এ বার ইমারতি দ্রব্যের দোকানের সামনে নর্দমার উপরে থাকা স্ল্যাব ভেঙে দিয়ে ফের বিতর্কে পানিহাটির সেই তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি। অভিযোগ, নিকাশি সংস্কারের নামে ওই স্ল্যাব ভাঙা হলেও তা আগাম জানানো হয়নি ব্যবসায়ীকে। স্ল্যাব ভেঙে দেওয়ায় আপাতত বন্ধ তাঁর ব্যবসা।

পুরো বিষয়টি জানিয়ে সোমবার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে পানিহাটির পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর আরও অভিযোগ, স্ল্যাব ভাঙার খরচ দেওয়ারও দাবি করেছেন শ্রাবন্তী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ‘‘পুরপ্রতিনিধি কখনও রাস্তায় মস্তানি করছেন, কখনও ‘দাদাগিরি’ করে দোকানে যাতায়াত বন্ধ করে দিচ্ছেন। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’’

পানিহাটির আগরপাড়ার সাধুর বাগানে প্রায় এক যুগ ধরে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে চিন্তারানি বারুইয়ের। পুরসভার ট্রেড লাইসেন্সও রয়েছে। ২০১৬-তে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে চিন্তারানিই ব্যবসা সামলান। তাঁর দোকান ও গুদামের সামনেই রয়েছে আড়াই ফুট চওড়া একটি নর্দমা। তার উপরে দেওয়া ছিল কংক্রিটের স্ল্যাব। সেটির উপর দিয়েই দোকানে যাতায়াত করতে হয়। অভিযোগ, ২৯ অগস্ট শ্রাবন্তী ও তাঁর এক দল অনুগামী দাঁড়িয়ে থেকে জেসিবি দিয়ে স্ল্যাব ভেঙে দেন। এতে দোকানের জলের পাইপলাইন, সীমানা প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ চিন্তারানির।

তাঁর দাবি, কেন আচমকা স্ল্যাব ভাঙা হল, তা জানতে চাইলে উত্তর দেননি পুরপ্রতিনিধি। চিন্তারানি বলেন, ‘‘এত বছর কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ এমন পদক্ষেপে আমি এবং ১০-১২ জন কর্মী রোজগারহীন হয়ে পড়েছি।’’ ওই ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ, স্ল্যাব ভাঙতে যে খরচ হয়েছে, সেটি তাঁকেই দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। যদিও খরচ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রাবন্তী বলেন, ‘‘স্থানীয় ক্লাব ও বাসিন্দাদের ডেপুটেশন পেয়ে নিকাশির সংস্কারের জন্য স্ল্যাব ভাঙা হয়েছে। তাতে ওই ব্যবসায়ীও সম্মতি দিয়েছিলেন।’’ অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরপ্রধান সোমনাথ দে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panihati Councillor

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy