টাকিতে ইছামতীর তীরে পিকনিকে এ বার ভিড় ছিল কম। নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনে পিকনিক হল। তবে তাতে তেমন ঢল নামল না। উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি পিকনিক স্পটে এমনই ছবি দেখা গেল শুক্রবার।
টাকি। পিকনিক স্পট হিসেবে নামডাক যথেষ্ট। অন্য বছর বড়দিনে ভিড়ে উপচে পড়ত টাকি। এ বার সেখানে অন্য ছবি। পর্যটকেরা এলেন বটে, তেমন ভিড় জমল না। যাঁরা ফাঁকায় ফাঁকায় পিকনিক করলেন, তাঁরা বললেন, ‘‘ভালই হল। করোনা কালে পিকনিকও হল। মানা হল দূরত্ব বিধিও।’’ কিন্তু এ দিনটার আসায় অপেক্ষায় বসেছিলেন অনেক ব্যবসায়ী। তাঁরা বললেন, ‘‘বড়দিনেও কাটল না দুঃখের দিন।’’ টাকি রাজবাড়ি ঘাটের কাছ থেকে শুরু করে ইছামতীর পাশ দিয়ে প্রায় ৪০টি বিভিন্ন দোকান রয়েছে। বেশিরভাগই খাবারের দোকান। এ দিন দুপুরে দেখা গেল সব দোকানগুলি ফাঁকা। দু’একজন এলেন সামান্য কিছু কিনতে। গৌতম দাস নামে এক রেস্তরাঁ মালিক বলেন, “আমপানে দোকানের ক্ষতি হয়েছিল। লকডাউনের পর দোকানের অনেক মাল নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে আইসক্রিম। ভেবেছিলাম পুজোতে ভাল লাভ হবে। তা-ও তেমন পর্যটক আসেনি বলে হয়নি। বড়দিনে অন্যবার কয়েক হাজার টাকার বেচাকেনা হত। আমাদের খাওয়ার সময় থাকত না। অথচ এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০০ টাকার বেচাকেনা হল। ভেবেছিলাম বেশি বিক্রি হবে। তাই বেশি করে রান্না করেছিলাম। যা অবস্থা দেখছি অনেক জিনিস নষ্ট হবে।” একই অবস্থা চঞ্চল বিশ্বাস, তিলক দাস- সহ অন্য রেস্তরাঁ মালিকদের।
পিকনিক, বড়দিনের ভ্রমণের তালিকায় পারমাদন অভয়ারণ্যের চাহিদা থাকে ভালই। এ দিন এখানে ইছামতীর দুই তীরে দেখা গেল দুই ছবি। পারমাদনের অভয়ারণ্যে অন্য বছর তুলনায় এ বার ভিড় ছিল খুবই কম। সেখানে পিকনিক হয়নি এ বার। করোনা-কালে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই অভয়ারণ্য। কয়েকদিন আগে তা খুলছে। তবু দেখা গেল না ভিড়। স্থানীয়েরা অনেকে বলছেন, অভয়ারণ্য যে খুলেছে সে খবর পৌঁছয়নি অনেকের কাছে। তা ছাড়া করোনার পরে প্রবেশমূ্ল্য জন পিছু ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০। পাখির সংখ্যা কমেছে অনেক। পারমদনে ইছামতীর অপর পাড়ে মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠি ছিল ভিড়ে ঠাসা। সেখানে চলেছে নৌকাভ্রমণ, বনভোজনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy